পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দুৰ্গাবতী । 20) হইয়াছে, ক্ষুদ্র গড়রাজ্য কি, সেই শক্তিকে প্রতিরোধ করিতে পরিবে ? প্রজারা ভীত হইল। দেশের স্বাধীনতা বুঝি আর থাকে না। রাণীমার সোণার রাজ্য বুঝি ছারখারে যায়। কিন্তু দুৰ্গাবতী নিজে ভীত হইবার পাত্রী নহেন। তিনি অদম্য উৎসাহে যুদ্ধের আয়োজন করিলেন। রাণী-মার ডাকে, রাণী-মার মান রাখিবার জন্য, প্রজারা অস্ত্রশস্ত্র লইয়া প্রস্তুত হইয়া আসিল। অষ্টাদশবর্ষীয় পুত্র বীরনারায়ণকে লইয়া, রাণী, যুদ্ধের সাজে সজ্জিত হইলেন ? মাথায় উজ্জ্বল রাজমুকুট, এক হাতে শূল এবং অপর হাতে ধনুৰ্বাণ লইয়া স্বয়ং দানবদলনী কেশরীবাহিনী দুৰ্গার ন্যায় মোগলদলনী দুৰ্গাবতী, হস্তীপৃষ্ঠে সমবেত সৈন্যগণের সম্মুখে উপস্থিত হইলেন। সকলকে সম্বোধন করিয়া তেজোপূর্ণ ভাষায় রাণী কহিলেন,-“সৈন্যগণ ! গড়বাসী প্রজাগণ ! যে সুন্দর গড়রাজ্য এতদিন তোমাদের ছিল, আজ তাহা পরে কাড়িয়া নিতে আসিয়াছে ! এই সুন্দর দেশের জলে ও ফলে তোমাদেরতোমাদের পিতৃপুরুষগণের দেহ ও প্রাণ পরিপুষ্ট হইয়াছে। এই সুন্দর দেশের পৃবিত্র ধূলিতে তোমাদের পিতৃপুরুষগণের অস্থিরেণু, মধুর বাতাসে প্রাণবায়ু, মিশিয়া আছে। এই পবিত্র দেশ তোমাদের জন্মভূমি,-তোমাদের জননী-ধাত্রী ও পালনকত্রী; সুতরাং দেবতার ন্যায় তোমাদের সকলের পূজ্য। আজ তোমাদের এই পবিত্র পূজ্য দেবদেশ দানবের পদাঘাতে