পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৎগুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য । R•». অবিনাশবাবু বলিলেন—“তাই তো, আমাদের এখানে প্রকৃতই জায়গা নাই। নরেনবাবু কি করিবেন ?” ইহার মধ্যে নরেনবাবু আসিয়া বলিলেন,- “বেশ তো, এত কথা কাটাকাটি করিয়া লাভ কি ? আজি সিণ্ডিকেট আছে, - আপনি তঁহাদিগকে জানান না কেন ? তাহারা আদেশ দিন, জায়গা निन्न ।।' তথাপি আমি অনুনয়-বিনয় করিতে লাগিলাম। কিন্তু অবিনাশবাবু বেশী কিছু না বলিলেও নরেনবাবু বারংবার আমাকে সিণ্ডিকেটে আবেদন করিতে বলিতে লাগিলেন। তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে, আমি সিণ্ডিকেটে আবেদন করিব না, এবং যদিও বা করি, অবিনাশবাবুর কথা ख्छिादेश র্তাহারা আমাকে প্রশ্রয় দিবেন না । আমি এইরূপ ব্যবহারে বিরক্ত হইয়া বলিলাম-“তবে কি সত্যই আমি সিণ্ডিকেটে জানাইব ? আপনার অনুমতি দিন, আমি তাহাই করি, আর গত্যন্তর নাই।” “হা, হী, তা’ই করুন, বেশী কথার দরকার নাই ।” আমি সেইখানে বসিয়াই একখানি আবেদন লিখিলাম এবং তাহা লাইয়া বাহির হইয়া গেলাম। রেজিষ্টারের ঘরের সম্মুখে যাইয়া ভাবিলামঅবিনােশ-বাবুর অমতে এরূপ চিঠি লেখা ভাল নহে ; সকলে এক খানে কাজ করিতেছি, বিরোধের মত কিছু হওয়া ভাল নহে। যাই, নরেনবাবুকে আবার বলিয়া দেখি । আমি নরেনবাবুর ঘরে গেলাম ; সেখানে অন্য দুই একজন কেরাণী তাহার কাছে উপবিষ্ট ছিলেন । আমি বলিলাম-“নরেনবাবু, কেন আমাকে কষ্ট দিতেছেন ? কাগজগুলি লইয়া আমি বাস্তবিকই বিপদে পড়িয়াছি ?” নরেনবাবু নিশ্চয়ই ভাবিলেন--আমি সেই আবেদন পেশ করিয়াছি, কিন্তু আশুবাবুর তাড়া খাইয়া পুনরায় তাহাকে ধরিতে আসিয়াছি। তখন fssI উত্তেজিতকণ্ঠে একটি হস্ত প্রসারিত করিয়া বলিলেন—“কেন বারংবার বিরক্ত করিতেছেন ? আমি বলিতেছি, সে হইবার নাহে।” আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সিনেটের সদস্য। কেরাণী-খানার এই ব্যবহারে আমি বড়ই অপমানিত বোধ করিলাম। আমি বলিলাম,-“নরেন T O