পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহৎগুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য RS (t মধ্যে অনেকেই তাহার দেখাদেখি এই রীতি অবলম্বন করিয়াছিলেন। ঐ রূপ উচ্চ প্রতিষ্ঠানে ধুতি, জামা ও চাদর পরিয়া যাওয়ার রীতি আশুবাবুর পূর্বে একেবারে অবিদিত ছিল। অধ্যাপকের গ্রীষ্মকালে সার্জের কোটু পরিয়া ও আঁটা-সাটা পোষাক-পরিহিত হইয়া ক্রমাগত ঘামিতেন, তবু বাঙ্গলার আবহাওয়ার যোগ্য মসৃণ মসলিনের জামা ও সুবিধাজনক, আরামপ্রদ ধুতি পরিতেন না। আশুবাবু এই বিকৃত রুচি একেবারে পরিবর্তন করিয়া দিয়াছিলেন। হাইকোটে বাধ্য হইয়া তাহাকে বিচারক-জনোচিত পোষাক পরিতে ঠাইত ; কিন্তু সেই হাই-কোর্টে ও অবসরের ঘণ্টায় বাঙ্গালীর পরিচ্ছদে অনাড়ম্বরে সিঁড়ি ভাঙ্গিয়া চলা-ফেরা করিতেন। এইরূপ চটপায়ে, একরূপ অৰ্দ্ধনগ্ন বেশে তিনি যখন প্রাতভ্রমণের সময় গড়ের মাঠে পায় চারি করিতেন, তখন কখন কখনও লাটসাহেব বা অপর কোন বড় রাজপুরুষ দাড়াইয়া দাড়াইয়া এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্ট। তাহার সহিত আলাপ করিতেন, নিকটে বড়, বড় স্বর্ণ-খচিত পোষাক-পরিহিত সাস্ত্রীরা উপস্থিত থাকিত,—এদৃশ্য দেখিবার মতো বটে, জ্ঞানের দুয়ারে জড়শক্তিকৃত সম্মান দান এই সকল ব্যাপারে দেখা যাইত । বিদ্যাসাগর মহাশয় ও এইরূপ দেশী পোষাকেই সর্বত্র যাতায়াত করিতেন,-কিন্তু তিনি ছিলেন খাটি টুলো পণ্ডিত,-তাহার পক্ষে ঐরূপ করার মধ্যে অসাধারণত্ব কিছুই ছিল না। কিন্তু আশুবাবু ছিলেন ব্রিটিশ অধিকারে ইংরাজী শিক্ষার পাণ্ডা,- একজন সর্বাপেক্ষা গণ্যমান্য পদবী ও পদ বিশিষ্ট ব্যক্তি। র্তাহার পক্ষে ধুতি-চাদর গ্রহণ করা এবং উন্মুক্ত বক্ষে পৈতা দোলাইয়া সর্বসমক্ষে দর্শন দেওয়া-সে সময়ের একটি সামান্য ঘটনা নহে। একথাও বলা চলে যে, তিনি যদি ঐ রূপ রীতির পুরোভাগে থাকিয়া ইহা শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে পুনঃ প্রচলন না করিতেন, তবে হয়ত জে, এম, সেন, সুভাষ বসু, এমন কি চিত্তরঞ্জন "কেও আমরা মেয়র হইয়া ধুতিচাদর-পরিহিত দেখিতে পাইতাম না। 侍衍 अख्थािनिक भर्शाना दाङ्घाछेम्ना शिश्न। শব্দটির প্রতি র’ প্রভৃতি সকল উপাৰি অপেক্ষা দেশীয় ‘বাবু বেশী অনুরক্ত fÇlir ; që J “Sir Ashutosh” vÇ?irsi