পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RNøo আশুতোষ-স্মৃতিকথা বিজয়ী-ঘোষণা, উহাতে একটুকু কুষ্ঠা বা নাতি-স্বীকারের ভাব তো নাই-ই, বরঞ্চ উচ্ছা! পাণ্ডিত্যের চিহ্ন ও জাতীয় সম্মান-জ্ঞানের অভিব্যক্তি বলিয়া গণ্য হইতে পারে। তাহা যেন নব্য-তন্ত্রী সমাজকে ডাকিয়া বলিতেছে-“তোমরা একটা সামান্য চাকুরি পাইয়াই বিদেশী প্রভাবে নিজস্ব গৌরব বিসর্জন দিতেছি এবং পরানুকরণ করিয়া স্পদ্ধিত হইতেছে, কিন্তু দেখ, আমি তোমাদেরই মত ইংরাজী শিখিয়াছি, তোমাদের অনেকের যেখানে প্রবেশাধিকার নাই, অল্প সময়ের জন্য যে সকল ইংরাজের সাক্ষাৎলাভ করিলে তোমরা কৃতার্থ হও, সেই ইংরাজ-সমাজে আমার অবাধ গতি, তাহারা আমাকে বন্ধুবৎ গ্রহণ করিয়াছেন, অথচ আমি আমার নিজ সমাজের আচার-ব্যবহার ছাড়ি নাই, আমার পূর্বপুরুষাচরিত পন্থা শুধু আমার প্রিয় নহে, তাহার মধ্যে আমার পক্ষে অগৌরবের কিছু নাই।” বিদ্যাসাগর এই যে সামাজিক প্রথা অক্ষুন্ন রাখিয়াছিলেন, তাহা বীর্য্যের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, তাহা সনাতন কাল হইতে প্রচলিত হইয়া আসিলেও তিনি তদার তৎকালে এই দেশ ও সমাজকে নূতন করিয়া গৌরব প্রদান করিয়াছিলেন । সুতরাং বিদ্যাসাগর মহাশয় তাহার জীবনে যে অপূর্ব ত্যাগ ও তেজ, জলন্ত অভিমান ও আত্মসন্মান-জ্ঞান, সাৰ্বজনীন দয়া-বৃত্তি ও সমাজ-সংস্কারের প্রবল ইচ্ছ। দেখাইয়া আমাদিগকে চমৎকৃত করিয়াছেন, তাহার কোন গুণই যে তিনি বিদেশী প্রভাব হইতে পাইয়াছেন, এরূপ তো মনে হয় না। তবে কবি হেমচন্দ্র তাহার চরিত্র বুঝাইতে “ইংরেজীর ঘিয়ে ভাজা” এইরূপ একটি বিশেষণ আরোপ করিলেন কেন ? তাহার কারণ আমার এই মনে হয় যে, ইংরাজ আগমনের পর হইতে প্রাচীন ব্রাহ্মণের আদর্শ আমাদের চক্ষু হইতে ধীরে ধীরে অপসারিত হইতেছিল, আর সে বুনো DBBBD S S EBB DDDi DDBBBB uBB BBDBD BD DS SBTDSDDBBDS DDDD নিকট অর্থ ও পদ-গৌরবকে মহিমান্বিত করিয়া পার্থিব সুখ-ভোগের চিত্র উজ্জল করিয়া দেখাইয়াছিল। এদিকে ক্রমবদ্ধিষ্ণু অবস্থা-বৈগুণ্য ও ইংরাজদের নিবন্দ্ব ও অপ্রতিহত্যু প্রভুত্ব আমাদিগকে সর্ব্ব বিষয়ে তাহাদের কৃপা প্রার্থী করিয়া মানসিক অবসাদ ও দৈন্তের সৃষ্টি করিয়াছিল। অর্থ ও সামান্য পদ-লিপ্তসা আমাদিগকে এরূপ প্রলুব্ধ করিয়াছিল যে, তাহার বিনিময়ে আমরা আমাদের আত্মসম্মান-জ্ঞান, চরিত্র-বল ও তেজ, সমস্তই বিসর্জন দিয়াছিলাম। একশত বৎসর পূর্বে এসিয়াটিক সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা উইলসন সাহেব যখন প্রচুর মাসিক বেতন অঙ্গীকার করিয়া একজন সংস্কৃত-অধ্যাপক ব্রাহ্মণদের মধ্যে খুজিতেছিলেন, তখন এদেশে কুটীরবাসী অৰ্দ্ধাশন ও অনশনে অভ্যন্ত সেই সমাজে তাহাকে সংস্কৃত শিখাইবার জন্য একজনও টুলো পণ্ডিত পাওয়া গেল না। তিনি অপেক্ষাকৃত অল্প বেতনে ( মাসিক পাচশত টাকা ) একজন বৈদ্য পণ্ডিত নিযুক্ত