পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ, ১৯৯৮ ও অশোকের রাজকার্য্যও শাসন-পদ্ধতি ৷৷ ২৬৯ | তত্ত্বাবধান করিত। ব্যবসারিগণ নূতন ও পুরাতন দ্রব্য সকল পৃথক রাখিতে আদিষ্ট হইত এবং তাহার রাজধানীতে প্রস্তুত, রাজ্যের অন্যত্র হইতে আনীত এবং বিদেশজাত দ্রব্য পৃথক ভাবে রক্ষা করিতে বাধ্য হইত। ষষ্ঠ সম্প্রদায়ের কার্য্য ব্যবসায়ীদিগের নিকট হইতে বিক্রীত দ্রব্যের শুল্ক সংগ্রহ কর । এই শুল্কগ্রহণ প্রথা আবহমান কাল হইতে ভারতে প্রচলিত আছে। মিগাসিথেনিস লিখিয়াছেন, ব্যবসায়ীদিগকে বিক্রীত দ্রব্যের মূল্যের দশমাংশ গুস্ক স্বরূপ রাজাকে প্রদান করিতে হইত । কিন্তু সকল দ্রব্যের সমান শুদ্ধ হওয়া সম্ভব নহে; বোধ হয়, দ্রব্যের প্রকার ভেদে শুল্কের পরিমাণের হ্রাসবৃদ্ধি হুইত । মনুসংহিতার সপ্তম অধ্যায়ে দেখিতে পাই, “ক্রয়বিক্রয়মধ্যবানং ভক্তঞ্চ সপরিব্যয়ম। যোগক্ষেমঞ্চ সম্প্রেক্ষ্য বাণিজ্যে দাপয়াৎ করান ৷” A | Y RA বাণিজ্য দ্রব্যের ক্রয়বিক্রয়ের মূল্য, তাহা কতদূর হইতে আনীত হইয়াছে,'; ভক্তাদিতে কত খরচ পড়িয়াছে, চৌরাদি হইতে রক্ষার নিমিত্ত যে ব্যয় এবং লভ্যাংশ-এই সকল হিসাব করিয়া রাজা বাণিজ্য দ্রব্যের উপর কর-স্থাপন করিবেন । সাম্রাজ্যের অন্যান্য প্রধান নগরীতে কিরূপ ভাবে রাজকার্য্য সংসাধিত হইত, তাহা ঠিক বলা যায় না ; তবে “অর্থশাস্ত্র”আলোচনা করিলে মনে হয় যে, রাজধানীর ন্যায় অন্যান্য প্রধান নগরের রাজকার্য্যও সমভাবে এইরূপ সমিতি কর্তৃক সম্পন্ন হইত । রাজাই ভূমির অধিস্বামী ছিলেন । কৃষকগণের নিকট হইতে রাজা উৎপন্ন শম্ভের চতুর্থাংশ রাজস্ব গ্রহণ করিতেন। সময়ে সময়ে অষ্টম ভাগও গৃহীত । হইত। রহ্মিনদেই গিরিস্তম্ভে লিখিত আছে, বুদ্ধদেবের জন্মস্থান বলিয়া অশোক লুঘিনী গ্রামের অষ্টভাগ কর গ্রহণ করা বন্ধ করিয়াছিলেন। বোধ হয়, ভূমির উৎপাদিকা শক্তির এবং কর্ষণ-ব্যয়ের তারতম্যানুসারে শস্তের চতুর্থ বা | অষ্টমভাগ রাজার প্রাপ্য ছিল। এইরূপে রাজস্ব আদায় করিয়া প্রতি বৎসর ) অনেক শত রাজ ভাণ্ডারে সঞ্চিত হইত। ইহার কিয়দংশ ব্যবসায়ীগণ ক্রয় কিরিত ; কিয়দংশ রাজ-কর্ম্মচারী ও সৈন্যগণের ভরণপোষণের জন্য ব্যয়িত খৃষ্টত এবং ঋতক বা ভবিষ্যৎ দুর্ভিক্ষাদি-নিবারণ জন্য সঞ্চিত থাকিত । ”