পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈকুণ্ঠের উইল eS ডাকিয়া এই দিকে তার দৃষ্টি আকৃষ্ট করিয়া কহিল, মারা ভাবগতিক দেখচ ? গোকুল উদ্বিগ্ন হইয়া বলিল, না ! কি হয়েছে মারি ? মনোরম তাচ্ছিল্যাভরে বলিল, হবে। আবার কি ! সেই যে কাল বলেছিলুম ঠাকুরপোর টাকা নষ্ট করার কথা-সেই থেকে আমার সঙ্গে কথা কন না। তোমার সঙ্গে কথা টথা কইচেন ত ! গোকুল শুষ্ক হইয়া কহিল, না, আমার সঙ্গেও না। মনোরম ঘাড়টা একটুখানি হেলাইয়া, কণ্ঠস্বর আরও নিচু করিয়া বলিল, দেখলে মজা। যে টাকাগুলো ঠাকুরপো দুহাতে উড়িয়ে দিলে, সেগুলো থাকলে তা আমাদেরই থাকত। ঠাকুর ত আমাদেরই সব লিখে দিয়ে গেছেন । আমাদের তিনি সর্বনাশ করবেন।--আর সে কথা একটু মুখ থেকে খসালেই রাগ করে কথাবাৰ্ত্তা বন্ধ করে দিতে হবে ? এইটে কি ব্যবহার ? তুমি ত “মা” “মা” করে অজ্ঞান, তুমিই বল না, সত্যি मा भिgछ ? γΑ গোকুলের মুখখান একেবারে কালিবর্ণ হইয়া গেল। কোনরকম জবাবই সে খুজিয়া পাইল না। তাহার স্ত্রী বোধ করি তাহা লক্ষ্য করিয়াই কহিল, ঠাকুরপো যাই করুক আর যাই হোক, সে পেটের ছেলে। তুমি সতীনপো বই নয়। তুমি পেলে সমস্ত বিষয়-ক্ষ-এ রিক কোন মেয়েমানুষের সহ্যু হয় ? না। না, আমার সব কথা অমন করে তোমার উড়িয়ে দিলে আর চলবে না । এখন থেকে তোমাকে একটু সাবধান হতে হবে,