পাতা:সিমার - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভালোবাসার, দাম্পত্যে আমার ভালোবাসা চিরজীবী হবে, প্ৰতিদিনের চলাচলে আমি একটি ভাঙা-কলির গানের সুরে উকি দেব। তোদের সংলাপের ভেতর অতর্কিতে ঢুকে গিয়ে জ্বালাতন করব । দুঃখ দেব। বিশ্বাস দেব। অবিশ্বাস হানব । মাফ করা হামিদুল, আমি অবিশ্বাসের কোনো কাজ করিনি, তবু কেন অবিশ্বাস এসে তোদের সুখের জীবনকে বিপন্ন করবে, জ্বালাপোড়ার ব্যথা দেবে ? এইটুকু কথা দে । তুষের আস্তরণে আমার ভালোবাসা এক টুকরো আগুনের মতো তোদের ধিকিধিক জ্বালিয়ে দেবে না ? আমি যেন বইয়ের পাতার ভাঁজে গোলাপের শুখা পাপড়ির মতো সুদূর-ছোঁয়া হালকা ভ্ৰাণ হয়ে তোদের ভালোবাসায় মিশে যাই, আমি যেন তুষের সাঁজালো তীব্ৰ অগ্নিকণা না झ्छ्रे ! তখন পৃথিবীতে ঢের রোদের ছড়াছড়ি । ভোর আটটা । স্নান করল রাবেয়া আমায় স্নান করালো । আপন হাতে রান্না করে হাতপাখার বাতাস দিতে দিতে શt૭sion} | খাওয়া-দাওয়া শেষ হলে আমরা অপেক্ষা করতে লাগলাম । রাবেয়া সোয়েটারটা এখনও শেষ করতে পারেনি । এমন সময় বাইরে টাঙ্গা এসে क्ळ् | হামিদুল এসেছে। রাবেয়া একটানে খুলে ফেলল সোয়েটার । কতকগুলো ঘর একদম ভুল হয়েছে। ফলে এমনই টান দিল যে তা জট পাকিয়ে গেল । সোয়েটারটা যে ঠিক কোথা থেকে শুরু হয়েছিল, তার মুখ-মোখড়া আর স্থির थांकन भां । পর পর দেখলাম সেই বোরকা-পরা কুহেলিময় নারী । অতৃপ্ত কালো একটি ভালোবাসার মূর্তি । রাবেয়াকে বোরকা-পরা অবস্থায় চেয়ে দেখে ভয় পেয়ে আঁৎকে উঠলাম। সুটকেশ হাতে ভয়ার্ত বোরকা-ঢাকা রূপসী রাবেয়াকে মনে হলো, আমার ভালোবাসা একটি অন্ধকারে ঢুকে গিয়ে কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে আলো নেই, আছে ঘোর অন্ধকারে প্রস্তরীভূত স্তব্ধতা, নিরেট আহত, ভাস্কৰ্য, আমি যেখানে চোখের আলো ফেলে খুঁজছি, পাগলের মতো খুঁজছি। খুঁজছি। আমি ? একটি শেকলের ছড়াচ্ছড় শব্দ হয় । একটি করুণ নারীকণ্ঠের নিম্পেষিত আত্ন আকৃতি, কান্নার ধূমল অবরুদ্ধতা, অস্পষ্ট হাহাকার ! ऊँी भूछछेि उत्राधि १ br