পাতা:বিরাজবৌ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

33 बिब्रांछ-दी সে অপর সকলকে একত্র করিয়া চুপি চুপি আদেশ বিয়া বজরা উড়াইয়া লইয়া অদৃশ্য হইয়া গেল। { কলিকাতার কাছাকাছি আসিয়া রাজেন্দ্ৰ হাফ ছাড়িল । গত রজনীর সুগভীর অন্ধকারে মুখোমুখি হইয়া সে যে চোখ দেখিয়াছিল, স্মরণ করিয়া আজ দিনের বেলায় এতদূৱ আসিয়াও তাহার গা ছমছম করিতে লাগিল। সে মনে মনে নিজের কান মলিয়া বলিল, ইহজীবনে ও-কাজ আর নয় । কিসের মধ্যে যে কি লুকান থাকে, কেহই জানে না। পাগলী যে কাল চোখ দিয়া তাহার পৈতৃক প্ৰাণটা শুষিয়া লয় নাই, ইহাই সে পরম ভাগ্য বলিয়া বিবেচনা করিল এবং কোন কারণে কখনও সে যে ও-মুখে হইতে পরিবে, সে ভরসা তাহার রহিল না। মুর্থ কুলটা লইয়াই এতাবৎ নাড়াচাড়া করিয়াছে, সতী যে কি বস্তু, তাহা জানিত না । আজ পাপিষ্ঠের কলুষিত জীবনে প্ৰথম চৈতন্য হইল, খোলস লইয়া খেলা করা চলে, কিন্তু জীবন্ত বিষধর অত বড় জমিদার পুত্রেরও ক্রীড়ার সামগ্ৰী নহে। عجح সেদিন অপরাহে যে স্ত্রীলোকটি বিরাজের শিয়রে বসিয়াছিল, তাহাকে জিজ্ঞাসা করিয়া বিরাজ জানিল, সে হুগলির হাসপাতালে আছে। দীর্ঘকাল বাত-শ্লেষ্মা-বিকারের পর, যখন হইতে তাহার হুস হইয়াছে, তখন হইতেই সে ধীরে ধীরে নিজের কথা স্মরণ করিবার চেষ্টা করিতেছিল । একে একে অনেক কথা মনেও পড়িয়াছে। একদিন বর্ষার রাত্রে স্বামী তাহার সতীত্বের উপর কটাক্ষ করিয়া, ছিলেন। তাহার পীড়ায় জর্জর, উপবাসে অবসর, ভগ্ন দেহ, বিকল মন সে নিদারুণ অপবাদ সহ করিতে পারে নাই। দুঃখে দুঃখে অনেক দিন