পাতা:বিন্দুর ছেলে - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ferre deatas Nly" কঠোর স্বরে প্রশ্ন করিলেন, তুই ভগা বাগদীকে মেরে-ধ’রে হাঁকিয়ে দিয়েছিস ? রাম চমকাইয়া প্লেট হইতে মুখ তুলিয়া এক মুহূৰ্ত্ত র্তাহার মুখের পানে চাহিয়া দেখিল, এবং জবাব দিবার লেশমাত্র চেষ্টা না করিযী। ওদিকের দরজা দিয়া উৰ্দ্ধশ্বাসে পলায়ন করিল। নারায়ণী ভিতরের কথা জানিতে পারিলেন না, ফিরিয়া আসিযা ভগা বাগদীকে ডাকাইয়া আনিলেন এবং মাছ ধরিয়া আনিতে হুকুম দিলেন। হুকুম পাইয়া ভগা জাল লইয়া গেল এবং অবিলম্বে এক প্ৰকাণ্ড রুই ঘাডে করিয়া আনিয়া ধড়াসা করিয়া উঠানের মাঝখানে ফেলিয়| দিল । নারায়ণী রান্নাঘরের দরজায় দাডাইয়া মাছ দেখিয়া এখন শিহরিয়া উঠিলেন। শঙ্কিত হইয়া কহিলেন, ওরে, একে ঘাটে ধরিাসনি তা ? এ রামের কান্ত্রিক-গণেশ নয় তা ? ভগা এত শীঘ্র এত বড় মাছ আনিতে পারিয়া বাহাদুরী কবিয বলিল, আজ্ঞে স্থা, মা-ঠাকরুণ, এ ঘেটে রুই-বড় জবর রুই ! দিগম্বরীকে আঙুল দিযা দেখাইয়া বলিল, ও মা-ঠাকুরুণ এনালেই ধ’ত্তে ব’লে দেছল। নারায়ণী স্তম্ভিত হইয়া দাডাইযা রহিলেন। নৃত্যকালী যদিও রামের উপর খুব সদ্য নহে, তবুও মাছ দেখিয়া সে রাগিয়া উঠিল। দিগম্বৱীকে বলিল, আচ্ছা দিদিমা, পাডার লোকে জানে ছোটবাবুর কাৰ্ত্তিক-গণেশের কথা। তুমি কি ব’লে এ মাছ ধ’বুতে ব’লে দিলে ? দু তিনটে পুকুরে কি আর মাছ ছিল না ? দশটা লোক খাবে, তা একটা আধমণি মাছই বা কি হবে ? লুকিয়ে ফেল একে, কোথায় গেছে। তিনি, এখনি এসে পড়বে। দিগম্বরী মুখ ভারী করিয়া বলিলেন, জানি না বাপু অত শত। একটা