পাতা:বিন্দুর ছেলে - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ਫ਼oਫ ee ঘুচল। নারায়ণী ভঁড়ার হইতে বাহির হইয়া একটা চৌকাঠে ভর দিয়া শুষ্ক-কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন, তঁরা থানায় গেছেন না ? শ্যামলাল ঘাড় নাড়িয়া বলিলেন, বাবু শিবৃতুল্য লোক, তাই মাপ ক’রেচেন, কিন্তু আরো পাঁচজন আছে তা ? দিন দিন একটা নূতন ফ্যাসাদ তৈরি হ'লে কি ক’রে গ্রামে বাস করি, বল! রাম কই ? নারায়ণী বলিলেন, সে এখনো আসেনি। বোধ করি, ভয়ে পালিয়েছে। শ্যামলাল গম্ভীর হইয়া বলিলেন, পালালেও তার সঙ্গে আর সম্পর্ক নেই, না পালালেও নেই। সে সৎমার ছেলে, লোকে নিন্দ ক’বৃবে, তাই এত দিন কোন মতে সহ ক’রেছিলুম, কিন্তু আর নয়। এখন নিজের প্ৰাণ বঁাচাতে হবে। দিগম্বরী রান্না-ঘরের বারান্দা হইতে বলিলেন, নিজের ছেলেটার পানেও ত চাইতে হবে। শ্যামলাল উৎসাহিত হইয়া বলিলেন, হবে না, মা, নিশ্চয় হবে। তবে কা’ল পাড়ার পাচজন ভদ্রলোক ডেকে বিষয়-সম্পত্তি আলাদা ক’রে ফেলব। আর তোমাকেও বলে রাখলুম, এ নিয়ে ওকে বকা-ঝকা করবার দরকার নেই। ও যা ভাল বোঝে, তাই করে। ভাল বুঝেচে, মনিবের ছেলের গায়ে হাত তুলেচে। দিগম্বরী মনে মনে পরমানন্দিত হইযা বলিলেন, নারাণি কেন যে ওকে শাসন ক’বৃতে যায়—আমার ত দেখে ভয়ে বুক কঁপে। যে গোয়ার ছেলে, ও আমাকেই যখন অপমান করে, তখন ওকে অপমান ক’রে ফেলবে, এ কি বেশি কথা! আমি বলি, শোন! নিজের মান নিজের ई-ब्रांभिन्न कथाम 6शकों न। শ্যামলাল শ্বশ্রীর এ কথাটায় আর সায় দিতে পারিলেন না, বোধ করি, চক্ষুলজা হইল। বলিলেন, যাই হোক, ওকে শাসন করবার দরকার নেই।