পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&वकूgछैन्न উইল। Wo সাক্ষীদের হাত করা চাই। তঁদের মুখেই মকদ্দমা। বুঝলে না বাবাজী। গোকুল মাথা বুকাইয়া কাঠের মত বসিয়া রহিল, বুঝিল কি না, তাহার জবাব দিল না। বোধ করি কথাটা তাহার কানেও যায় নাই । কিন্তু তাহার কন্যার কানে গিয়াছিল। সে ঢালা হুকুমও দিল, অবশ্য কন্যা এবং জামাতা একই পদার্থ এবং অন্যান্য বিষয়ে র্তার কথাতেই কাজ চলিতে পারে বটে ; কিন্তু এই সাক্ষীর বাবদে গোপনে টাকা খরচ করিবার অবারিত হুকুমটা জামাতা বাবাজীর মুখ হইতে ঠিক না পাইয়া রায় মহাশয়ের উৎসাহের প্ৰাখৰ্য্যটা যেন ধিমা পড়িয়া গেল। বলিলেন, আচ্ছা সে সব পরামর্শ কাল-পরশু একদিন ধীরে সুস্থে হবে অখন। আজ যাও বাবাজী ; হাতমুখ ধুয়ে কিছু জলটল খাও, সারাদিন কথাটা শেষ হইবার পূর্বেই গোকুল হঠাৎ উঠিয়া নিঃশব্দে বাহির হইয়া গেল। রায় মহাশয় মেয়ের দিকে চাহিয়া কহিলেন, বাবাজী ত কথাই কইলে না ! টাকা ছাড়া কি মামল মকদ্দমা করা যায় ? বিপক্ষের সাক্ষী ভাঙিয়ে নেওয়া কি শুধু হাতে হয় রে বাপু ! ভয় করলে চলবে কেন ? নিমাই পাকা লোক। মানুষের ছায়া দেখিলে তার মনের ভাব টের পান। সুতরাং গোকুলের এই নিরুদ্যম স্তব্ধতা শুধু যে টাকা খরচের ভয়েই, তাহা বুঝিয়া লইতে র্তাহার বিন্দুমাত্র সময় লাগে নাই, কিন্তু তাই বলিয়া মেয়ের এই ঘোর বিপদের দিনেও তা তিনি আর অভিমান করিয়া দূরে থাকিতে পারেন