পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এম্বুলেন্স এসে আহত মানুষ ক’জনকে নিয়ে যায় হাসপাতালে। বেশী জখম সেলুন গাড়ীটার সামনের দিকটা শিকলে বেঁধে শূন্যে বুলিয়ে পিছনের দুচাকায় গড়িয়ে টেনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় । তারপরেই দেখা যায় পথে যেমন চলছিল। তেমনি চলেছে গাড়ী ও মানুষের দুমুখী ধারা। দাড়িয়ে থাকে কেবল সেলুনটার উপরে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল যে লম্বাটে বড় গাড়ীটা । এই গাড়ীটা চালাচ্ছিল আমাদের কেশব । কেশব ফুটপাতে নেমে গিয়েছিল। আর গাড়ীতে ওঠেনি। তার নাকি মাথা ঘুরছে। ললনা নিজেই গাড়ীটা ধারে সরিয়ে এনে রেখেছে। তারপর কেটে গেছে। কয়েক মিনিট । কেশব ফুটপাতে দাড়িয়ে সিগারেট টানে আর ঘন ঘন ঢোক গিলবার চেষ্টা করে। ললনা বলে, আপনার কি হল কেশববাবু? দাড়িয়ে রইলেন যে ? কেশব বলে, আমার এখনো মাথা ঘুরছে। চালাতে পারব না। গীতা বলে, বাঃ বেশ ।। ওদিকে স্কুলে যে দেরী হয়ে যাবে আমার ? মাইনে করা ড্রাইভারেরও যে একটা মাথা আছে এবং বিশেষ অবস্থায় সে মাথাটা ঘুরতে পারে, এটা ললনা স্বীকার করে নেয়। বলে, গাড়ীতে এসে বসুন, আমিই চালাচ্ছি। BS DDD LDDBB BB BBSDD DuBD S BDYSBDD S আরও কয়েক মিনিট তারা সময় দেয় কেশবকে । ড্রাইভারেরও মাথা ঘোরা গা কেমন করার আছে বলেই শুধু নয়। কেশবের কাছে তারা অত্যন্ত কৃতজ্ঞতা বোধ করছিল । কেশব তাদের আশ্চর্য্যরকম বঁচিয়ে দিয়েছে। গাড়ীটা আরও বেশীরকম জখম হওয়া এবং তাদের বেশী আঘাত লাগা উচিত ছিল, বিশেষ করে কেশবের । কেশবের মত পাকা 8