পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাবিত্রী শৈব্যারা যদি চরম দুঃখ বরণ করে থাকে তাতে তো এরা 6छाप्ने झुgश यांध्न ना । জীবন যখন যেমন তখন তার তেমনি রীতিনীতি। এই রীতিনীতি ঠিকমত ধরতে পারা, আগামী সুখের দিনের জন্য দুঃখের দিনের তপস্যা বরণ করা, এতো সহজ কথা নয়, তুচ্ছ কথা নয়। ক’জন এটা পারে ? না, পরীক্ষা পাশ করেও চাকরী জোটাতে পারেনি বলে, রোজগার করতে না পেরেও সকলের কাছে চোর বলে থাকতে রাজী হয় নি। বলে, সবার স্নেহ মায়া কেন বিষিয়ে গিয়েছিল। সেজন্য তার কোন নালিশ নেই। যে মা তখন খেতে বসলে অবজ্ঞার সঙ্গে থালায় ভাত তরকারি ছুড়ে ছুড়ে দিত, এক পয়সা রোজগার না করে পাঁচজনের অন্ন ধবংস করার অনুযোগ দিত, সেই মা আজি খাওয়ার সময় সামনে বসে কম খাওয়ার জন্য কঁাদ কঁাদ হয়ে অনুযোগ দেয় বলে তার এতটুকু দুঃখ বা জ্বালা হয় না। এটাই নিয়ম স্নেহ মমতার । মা তার সাধারণ নিয়মের বাইরে গিয়ে আনিয়মকে বরণ করার শিক্ষা দীক্ষা পায়নি, সেটা কার দোষ ? মায়ের নিশ্চয় নয় । অবাধ্য দুরন্ত শিশুকেও মা শাসন করে। পাশ করে চাকরী করে পয়সা আনার বয়স হলেও ছেলে রোজগার না করে ঘরের ভাত খেলে মা বিতৃষ্ণা দেখাবে না ? সে অধিকার তার পুরোমাত্রায় VSC সেই ছেলে আবার মোটর গাড়ী চালিয়ে হোক, আর চুরিডাকাতি করে হোক রোজগার করে এনে সংসারে দিলে তাকে স্নেহ জানাবার অধিকারও মার পূরোমাত্রার আছে। 8之