পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাড়ীর দরজায় গাড়ী নিয়ে যেতে হয়। মেয়েটা এমনিতে খুব নিরীহ সাদাসিদে আর সরল কিন্তু ভয়ানক অভিমানিনী । গীতা আর শোভনা সময়মত বাড়ী থেকে একটু হেঁটে এসে বড় রাস্তায় ফুটপাতে নির্দিষ্ট স্থানে গাড়ীর প্রতীক্ষায় দাড়িয়ে থাকে। স্কুলের সব চেয়ে নিকটবর্ত্তী পয়েণ্টে গীতাকে নামিয়ে দিয়ে তারা 5°C可可西目 সপ্তাহে দু’দিন গীতাকে স্কুলে যেতে এবং অন্য দু’দিন স্কুল থেকে ফিরতে বাসের পয়সা খরচ করতে হয়। দু’দিন এদের ক্লাশ থাকে এত দেরীতে এবং অন্য দু’দিন ক্লাশ শেষ হয়। স্কুল ছুটি হবার এত আগে যে গীতাকে গাড়ীতে তুলে নিয়ে যাওয়া অথবা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না । A. বাধ্য বাধকতা কিছুই নেই, একটা আস্ত গাড়ীতে একলা কলেজ যাতায়াত করতে ললনার ভাল লাগে না বলে সে নিজেই উদ্যোগী হয়ে ব্যবস্থাটা চালু করেছে। নিছক খেয়াল বা সখী নয়, বিচার বিবেচনাও আছে। এ ব্যবস্থার পিছনে । গীতা ও শোভনার দুবেলা যাতায়াতের খরচ বেঁচে যাওয়াটা গণনীয় ব্যাপার। কিন্তু মন্দ্রার বেলা সে প্রশ্নই আসে না-যদিও তার বাবার মোটর গাড়ী নেই। ট্রাম বাসে যাতায়াতের কষ্ট বাচানোটাই হয়েছে তাদের হিসাবে সব চেয়ে বড় কথা। ওই দুর্ভোগের হাত থেকে রেহাই পাবার জন্যই তারা বিশেষভাবে ললনার কাছে কৃতজ্ঞতা বোধ করে । কতটুকু সময়ের জন্যই বা তারা গড়ীতে একত্র হয়! সেইটুকু সময়ের মধ্যেই তাদের কথাবার্ত্ত তর্কবিতর্কের ভিতর থেকে নতুন দিনের মেয়েলি t