পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

এনেছে । বজাতি করতে গেলে কি সবাইকে দেখিয়ে ওর সাথে ফিারতাম ? কেউ টেরও পেতে না তা’হলে । তোমাদের বঁাকা মন খারাপট ছাড়া তোমরা ভাবতে পার না । একটু থেমে মিনু আবার বলে, ওই তো। ওরা ঘুরে ঘুরে কোথাও ঠাই পেল না, শেষকালে ষ্টেশনে গিয়ে উঠল। কাল আবার ঠাই খুজতে বেরোবে। গোরস্ত ঘরের কত মেযে বেী ভিক্ষে করছে দেখে এলাম। আমি আর ভয় করিনে তোমাদের । তাড়িয়ে দিলে দেবে, ভিক্ষে করে গতির খাটিয়ে খাব ৷ যে সুখেই রেখেছে । মিনুর শেষ কথাটা কানে যেন বিধে যায় কেশবের। মায়াও একদিন বলেছিল, কি সুখেই রেখেছে ! এত লোকের সংসার, এতগুলি বাচ্চ কাচ্চা, একটা ঝি পর্য্যন্ত রাখেন । খাটতে খাটতে হাড় কালি হয়ে গেল । তবু মায়ার কেন এত দরদ সবার জন্য, এমন শান্ত মধুর ব্যবহার ? তার কাছে যাই বলুক, মিনুর মত মুখ খুলে একটু নালিশ কেন সে জানাতে পারেনা ? তার স্নেহ, মমতায় ফাকি নেই। কিন্তু মেহমমতা একটু কম করলে কি আসত যেত ? মিনুকে নিয়ে আলোচনা সে রাত্রে সেখানেই শেষ হয়। কেশবকে দু'একদিন ভেবেচিন্তে দেখতে হবে, সে সকলকে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে মিনুর কাণ্ড নিয়ে কেউ যেন আর হৈ চৈ না করে। মিয়ও যেন এরকম না বলে কয়ে বাড়ী ছেড়ে না যায়। পয়সা নেই, আর যাব কি করে ? দু’চারটে পয়সা জমলে VK CVS মিনুর সমস্যা নিয়ে মাথা ঘামাবার কিছু নেই। ছেলে খুঁজে বিয়ে (py