পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গীতা । জোর দিয়ে হুকুমের সুরে বলে, গাড়ীতে ষ্টার্ট দিন, সব ঠিক হয়ে যাবে । জোরে চালাবেন, আমার দেরী হয়ে গেছে । তবু কেশব ইতস্ততঃ করে। শোভনা মিনতি করে তাকে বলে, আপনিই চালান কেশববাবু। ললনা শেষকালে সত্যি সত্যি এ্যাকসিডেণ্ট ঘটিয়ে আমাদের মারবে ! ধীরে ধীরে অনিচ্ছিক পদে কেশব নিজের যায়গায় বসে গাড়ীতে ষ্টার্ট দেয়। গাড়ীটা একটু আস্তেই চলে প্রথমে। খানকয়েক গাড়ী পিছন থেকে হর্ণ বাজিয়ে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে চলে যায়। তারপর আপনা থেকেই যেন স্পীড বেড়ে যায়। একটা ফাক পেয়ে কেশব দু’খানা বাস আর চারখানা প্রাইভেট গাড়ীকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় । শোভনা বলে, মাথা ঘুরছে বলছিলেন, একটু আস্তে চালান না ? কেশব নিশ্চিন্তভাবে বলে, না, ঠিক হয়ে গেছে। কে জানে কি রকম মাথা ঘোরা গা কেমন করা তার, গাড়ী চালাবার আগে পর্য্যন্ত কাবু করে রাখে, গাড়ী চালাতে সুরু করলেই সব ঠিক হয়ে যায়। গীতার চাকরীর দায়, প্রাণের ভয়ের চেয়ে যে দায় বড় । সে বলে, যত জোরেই চালান, আজি লেট হয়ে গেলাম । স্কুলের কাছাকাছি নির্দিষ্ট স্থানে গাড়ী থামতেই গীত তাড়াতাড়ি C : বাড়ী থেকে গাড়ীতে ললনা রওনা দেয় এক, পথে একে একে তিন জনকে তুলে নেয়। মন্দ্র ও শোভন ললনার ক্লাশ ফ্রেণ্ড । গীতা তাদের চেয়ে সাত আট বছর বয়সে বড় হবে। মন্দ্রাকে তুলে নিতে খানিক ঘুরে তারা V