পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মায়া ঝাঝালো হাসি হাসে । ঃ সত্যি, অবাক করলে আমাকে । ছেলে ছোকিয়াও জানে লুকিযে, ভালবাসা দু’চার দিন চলে, তাও আবার ফাঁকতালে সুযোগ বুঝে চালাতে হয়। রঞ্জন পর্য্যন্ত এটা বোঝে । নইলে তোমার বোনটির আজ গতি থাকত ? কেশবের আবার চমক লাগে ।

বটে নাকি ?
তবে কি ? নিজে কান পেতে শুনি নি। ওদের কথাবার্তা ? মিনু কি বলে জানো ? বলে, এত সস্তা নাকি আমি ? বিয়ে করে ঘরে নিয়ে যত খুন্সী আব্দর কোরো । ভালবাসার পথ হয়েছে বিয়ের ব্যবস্থা করতে পার না ?

কেশবের মুখ খিচুনির ভাবটা বদলে গেলেও মায়া স্বস্তি পেতে ভরসা পায় না। শুধু ভাবে, মানুষটা কি বুঝেছে তার কথা এবং ব্যথা ? কেশব খুব শান্তভাবে, প্রায় সুমিষ্ট স্বরে বলে, আমি ভাবতাম তুমি বুঝি খুব সরল—অর্থাৎ বোকা । তুমি এত চালাক ? মায়া বোকার মতই ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে । কেশব বলে, আমি কি বললাম বুঝেছ ঠিক। বুঝেও না বোঝার ঢং করছি। ভয় হচ্ছে, না ? চালাকি টের পেয়ে গেছি ? কেশবকে অবাক করে দিয়ে মায়া একটু হাসে।-তোমার কথা বুঝতে পারছি না। তবে কিসের ভয় ? তোমাকে তো আমি ভয় করি না । আগে সবাইকে ভয় করতাম-তোমার জন্য সব ভয় ভাবনা কাটিয়ে দিয়েছি। তোমাকে ভয় করব কেন ? সব ভয় কাটিয়ে দিতে তোমায় ধরলাম, তোমাকেই আবার ভয় করব ? ভারি তো লাভ হল S 8bፖ