পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রকৃতি রূপ দিয়েছে মোহিনীকে । মোহিনী যদি শক্ত হয়ে থাকে, তার রূপের সিনেমাটিক ছবিটুকু ছাড়া কিছুই বিক্রী করতে না চায়, কার সাধ্য আছে তাকে বিগড়ে দেবে ? ভুবন আর তর্ক করেনি। বয়োজ্যেষ্ঠ শালাকে আড়ালে ডেকে নিয়ে বলেছিল, খাপরদার আমার বাড়ীতে আর এসে না । অপমান হবে ।

আজকেই তো করলে চুড়ান্ত অপমান ? আকাশের বাক চাদটার দিকে কয়েক মুহূর্ত্ত চোখ তুলে চেয়ে থেকে ভুবন বলেছিল, আবার এলে অপমান নয়, খুন করব ।

সে আর আসেনি । কিন্তু সিনেমার ভাব ক্রমাগতই এসেছে মোহিনীর কাছে । ভুবন টের পায়নি। কি করে টের পাবে ভুবন ? মোহিনীর জ্বরের জন্য ওষুধ আনতে ডাক্তারখানায় গেলে সেই ফাকে যে মোহিনী গায়ের জালায় পুকুরে ডুব দিয়ে আসে, এটাও কি সে ভাবতে পেরেছে না জানতে পেরেছে। ভুবন যেন কাতরভাবে কেশবের কাছে নালিশ জানায়, কোনদিন মুখ ফুটে কিছু বলবে না । কিছু চাইবোনা কিন্তু কেশবের সহানুভূতি মেলে না। একি আর বলতে হয়। ভুবনন্দ ? কথায় আর যাই হোক পেট 90 की । ঃ কি জানি আমি এসব বুঝিনা ভাই। হিমসিম খেয়ে গেলাম । বাড়ী ফিরে কেশব মিনুকে ডাকে ।

ভুবনন্দা’র বৌয়ের অসুখ জানিস ? ঃ জানি না ? তিনচার বার দেখে এসেছি।

δ ο 8