পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষেরা এমনিভাবে টেনে নামিয়ে মারতে মারতে মেরে ফুেলতে পারত ! কপালের কথা কে বলতে পারে ? কোন অশুভক্ষণে কবে সে মানুষ মেরে বসবে, নিজেও মারা পড়বে। কী মারাত্মক রকম বিপজ্জনক তার কাজ । সাধে কি মা বারণ করেছিলো এ কাজ নিতে, মায়া কেঁদে ভাসিয়ে দিয়েছিল। আজও মায়া কি সাধে প্রতিদিন দারুণ উৎকণ্ঠ বুকে নিয়ে তার জন্য রাস্তায় চোখ পেতে রাখে, তাকে ফিরতে দেখলে যেন জীবন ফিরে পায় । গাড়ী নিয়ে এখানে দাড়াবার হুকুম নেই। ট্র্যাফিক পুলিশ এসে ধমক দিয়ে যায়। চোখ কান বুজে কেশব গাড়ীতে ষ্টার্ট দিয়ে সাবধানে আস্তে আস্তে গাড়ী চালিয়ে নিয়ে যায় । কিন্তু শত শত গাড়ী যখন একই দিকে বেগে চলেছে তখন এতখানি কম স্পিডে গাড়ী চালানোর অসুবিধাও অনেক । খানিক এগিয়ে যেতে যেতেই পিছনে অসহিষ্ণু হর্ণের আওয়াজ শুনতে শুনতে আপনা থেকেই গাড়ীর স্পিড সে বাড়িয়ে দেয়। ষ্টার্ট দিলেই মৃত গাড়ীটি জীবন্ত হয়ে ওঠে। চালাতে সুরু করলেই যেন সে জীবনে গতি পায়। সেই গতিতেই যেন লয় পায় কেশবের দেহ মনের নিদারুণ অশান্তি । কিন্তু গাড়ী গ্যারেজে ঢুকিয়ে গ্যারেজের লাগাও নিজের ছোট কুঠরিতে গিয়ে জামা ছাড়তে ছাড়তে আবার এক অকথ্য গভীর বিষাদে भ० ड0 श3 । সে বিষাদের আবার ঝাজ আছে। প্রাণটা জ্বালা করে ! অজানা দুর্বোধ্য নালিশ উথলে উঠতে চায় বুকের কডায়ে ৮ o