পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জিজ্ঞাসা করে। আবার ভাবে, এরকম প্রশ্ন কি করা চলে ডাক্তারকে ? ডাক্তার দত্ত বলে, কথাটা গোলমেলে লাগছে ? আচ্ছ। এই পয়েণ্টটা নিয়েই আমাদের কাজ সুরু করা যাক । ভালবাসা থেকে অসুখের লক্ষণ কি ভাবে বার করা যায় ? ভালবাসার ওপরেও অসুখটার প্রভাব থাকায় কতগুলি পিকুল্যারিটিজ এনে দেয় কাজেই \৭গুলি অসুখেরই লক্ষণ । ওইগুলি বিচার করলে সেদিন দু’টীি চিন্তা মাথা জুড়ে থাকে কেশবের । টাকার চিন্তা আর প্রেমের রহস্যের চিন্তা । একটী পয়সা কখনো জমাবার চেষ্টা করে নি, নিজের খরচ বাদে সব টাকা বাড়ীর লোকের পিছনে খরচ করেছে। আজ এত দরকারী চিকিৎসার টাকা তার হাতে নেই । বাড়াটা বাধা রাখতে হবে কিম্বা বেচে দিতে হবে । কে জানে । কি হাঙ্গামা সৃষ্টি করবে বাড়ীর সকলে । এমন একজন বন্ধু পর্য্যন্ত তার নেই যার কাছে কিছু টাকা ধার করতে পারে। বন্ধু তার শুধু কান্ত, ধার দেবার মত টাকা কানুর নেই । ভাল হয়ে যাবার আশা আরও জোরদার হয়ে উঠেছে আজ। মনে এসেছে দ্বিধাহীন সঙ্কল্প, চিকিৎসা শেষ পর্য্যন্ত সে চালিয়ে যাবেই । বাড়ীর সকলে যতই রাগ করুক যতই চেঁচাক, দরকার হলে বাড়ী সে বিক্রী করবে । নিজের প্রতিজ্ঞার দৃঢ়তায় কেশব আশ্চর্য্য হয়ে যায়। এমন গুরুতর বিষয়ে এমন অনায়াসে মনস্থির করে ফেলা তো তার নিয়ম নয় ! ডাক্তার দত্ত বলে দেয় নি। কিন্তু আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর •থেকে কেশবের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে কথাটা যে তার প্রেমটা গোপন বলে, ܣܠ ܠ ܠ