পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

: ব্যাপার আর কি, অ্যাকসিডেণ্ট । কাজ করতে করতে দুর্ঘটনা ঘটে। পায়ের তিনটি অঙ্গুল ছেচে গিয়েছিল, হাসপাতালে কেটে বাদ দিয়ে দিয়েছে। মাথায় চোট লেগে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল ।

কি করে হল ? : আর বলিস কেন, ব্যাটার যত সস্তা রাদি মেসিন দিয়ে কাজ

চালাবার চেষ্টা । দুর্ঘটনায় বিবরণ শুনতে শুনতে কেশব হঠাৎ বলে ওঠে, আরে, পরশু না তোর বিয়ে ? সারা মাথায় ব্যাণ্ডেজ জড়ানো, শুধু মুখ খোলা। কানু হেসে বলে, জম্বরটার যদি না এসে যায়, পায়ে মাথায় ব্যাণ্ডেজ নিয়ে বিয়ে করতে যাব । ওদের বিশ্বোস নেই বাবা । আজ একরকম ভাবে কাল আরেকরকম ভাবে-সময় পেলে একটা গোলমাল পাকিয়ে বাসবে কিনা কে জানে । কেশবও একটু হাসে - তুই এমন বিয়ে পাগল হয়ে উঠবি কোনদিন ভাবতেও পারি নি ।

বিয়ে পাগল মানে ? ওকে আমি বিয়ে করবই । ফাক পেলে যদি জোর করে অন্য কারে সঙ্গে গোথে দেয় ? নইলে দু’চার ছ’ মাস এদিক ওদিক হল তো বয়ে গেল ।
জোর করে কারে সঙ্গে গাঁথতে পারবে না । ও মেয়ে শক্ত আছে । ওকে নোয়ানো যাবে না । জোরটা পেল কোথা থেকে তাই ভাবি ৷ ভারি আশ্চর্য্য লাগে ।
আশ্চর্য্যের কি আছে ? দিন কালটা দেখতে হবে তো । বোকা নরম পুতুল হয়ে থাকা মেয়েদেরও আর পোষাচ্ছে না। বাবা ।

S Rbr