পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লালন বলে, উনি মালিক । কেশব বলে, ও ব্যাটা চুলোয় যাক। আপনার কথা বলুন। রোজগার তো করছেন কিছু কিছু। ঘেটুকু না হলে নয়। তাই রোজগার করে চিকিৎসাটা চালিয়ে গেলে হত না ? সভাটভীয় সময় নষ্ট না করে, শুধু ওষুধপথ্যের পয়সাটা রোজগার করে ? 0SK SDBD B SS ST DkBBB BDD BDDDBD S : বড় লড়াইটা ভালভাবে করার জন্যই দুদিন ঢ়িল দিয়া অসুখটা সারাবার জন্য লড়াই করতেন ? হঠাৎ যেন বেশী পরিমাণে লোকজন ছুটোছুটি করে, আসা যাওযা। সুরু করে, ষ্টুডিওতে যে একটা উৎকট রকম চাঞ্চল্য এসেছে ত্রিশ গজ দরে দাড়িযে এখন থেকে টের পাওয়া যায় । হঠাৎ যেন অত্যধিক চঞ্চল হয়ে উঠেছে ষ্টুডিওটা । তবে সেটা সত্যিকারের কর্ম্ম-চাঞ্চল্য অথবা জমকালো গাড়ীর আরোহীটির জন্য কর্ম্ম করার চাঞ্চল্য দেখানো সেটা অবশ্য সহজেই টের পাওয়া যায । কেশব বুঝতে পারে, মালিকও জানে যে এই কর্ম্ম বাস্ততােটা লোক দেখানো, তাকে দেখানো ফাকি বাজি শে । কিন্তু এটাই যেন সে চায়-ফাকিতেই যেন সে খুন্সী । গাড়ী বারান্দায় একটা সিনের সেট করা হয়েছিল । গাড়ী বারানদার সিড়িতে দাড়িয়ে সে যেন হাসিমুখে রীতিমত একটা বক্ততা ঝেড়ে দেয় যে বেশী খাটুনি নয় ছবিটির আটষ্টিক কোয়ালিটির দিকে যেন সব সময় সকলের নজর থাকে । লালন মুখ বাকায় ! ষ্টুডিওতে হাজিরা দেবার তাগিদ যেন তার ফুরিয়ে গেছে। আর তাড়াহুড়ো করবার প্রয়োজন নেই । SOS