পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিনু বেরিয়েছিল ভাবাবেগের তাড়নায়, মরিয়া হয়ে। জানুক সবাই বুঝুকি সবাই যে তাকে আর তুচ্ছ করা চলবে না। একটি ছেলের খোজ মিলেছে, কথাবার্তা চলছে। তাতেই মিনুকে শান্ত আর সুখী দেখাচ্ছে আশ্চর্য্য রকম । বেলা বেরিয়েছে হিসাব করে সাবধান হয়ে । কেউ যাতে জানতে না পারে, গণ্ডগোল না হয়। কেশব জানে তারও এটা সখের বেড়ানো নয়, কানুর সঙ্গে মোটর বিহারটাই আসল কথা নয়। দু’জনের মশগুল হয়ে কথা বলার ধরনটা একনজর দেখেই সে এটা টের পেয়েছিল । পাশে এসে পড়লে তবেই তার গাড়ীর আওয়াজটা ওদের কানে গিয়েছিল, মুখ তুলে তাকিয়েছিল। এমনি সুযোগ সুবিধা নেই, ওরা তাই একটু পরামর্শ করতে বেরিয়েছে। বুদ্ধিটা কানুর হতে পারে। কিন্তু বেলার কাছেও পরামর্শটাই আসল কথা । কানুর গাড়ী ফিরে যায়। কেশব একটু ঈর্ষা বোধ করে। কানুর যেমন কোন বিষয়ে দোমনা ভাব নেই, মনটা একবার ঠিক করে নিতে পারলেই হল। --বেলারও তেমনি কোন বিষয়ে ন্যাকামি নেই। হাবামি cनई । যদি বিয়ে হয় দু’জনে মিলবে ভাল। একটা বিড়ি ধরিয়ে কেশব ভাবে, গরীব সংসারে দুঃখ কষ্ট পেয়ে বেলাও বড় হয়েছে, মিনুও বড় হয়েছে, বিদ্যাও প্রায় একইরকম দুজনের পেটে, কিসে এতখানি তফাত হল দুজনের প্রকৃতিতে ? কানুর সঙ্গে তার পার্থক্যের মানে আছে । সে রোগী, কানু সুস্থ স্বাভাবিক बांश् ।