পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জরুরী চিঠি লিখেছে ভাই, খুড়ো আর ভগ্নীপতির কাছে। সাহায্য চাই, টাকার সাহায্য, সেবা-যত্ন দেখা শোনা করার সাহায্য । বাড়ী ফেরার পথে খবর নিতে গিয়ে কেশব স্থাখে, দরজায় দাড়িয়ে ভুবন মুখ বাকিয়ে বিড়ি টানছে। ভুবন বলে, এই মাত্র ঘুমোলো । বলে, একলাটি আর তো পেরে উঠছিনা ভাই। চিঠির একটা জবাব কেউ দিলে ? টাকা না দিক

টাকা চেয়েছিলে বুঝি ভুবনন্দ ?
চিকিৎসার জন্য চেয়েছি। কোনদিন তো চাই না। আজ शॉ९ ७भन्न दि° श्ट्ब्ल

কেশব খোচা দেবার সুরে বলে, ওদেরও দোষ নেই ভুবনন্দ । কোনদিন কোন সম্পর্ক রাখবে না, বিপদে পড়ে হঠাৎ সাহায্য চেয়ে চিঠি লিখবে। দু’চার বছরের মধ্যে বৌঠানকে নিয়ে একবার দেখা করতে গিয়েছিলে কি ? ওরা আছে না বিপদে পড়েছে। খবর নিয়েছিলে কি ? ঃ সে যাই হোক, নিজের ভাই, বাপের ভাই, নিজের বোন: না ভুবনন্দা, নিজের নয়। তুমি ভাবে থাকে, বোঝে না। তো সংসারের ব্যাপারটা । আদান প্রদান না থাকলে কি আত্মীয়তা থাকে ? তোমার চিঠি পেয়ে ওরা সবাই ভড়কে গেছে। ভাবছে, জবাব দিলেই কি হাঙ্গামায় পড়বে কে জানে ! একটা বড় রকম ঝনঝাটে না পড়লে তুমি সাহায্য চেয়ে চিঠি লিখবে এটা ওরা ভাবতে পারছে না । গোঙানির আওয়াজ শুনেই দু’জনে তাড়াতাড়ি ভেতরে যায় । মোহিনীর মাথায় বসানো আইস ব্যাগটা সরে গেছে। А о о