পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিনকাল ঘাড়ে ধরে শক্ত বানিয়ে দিচ্ছে, চালাক করে দিচ্ছে, এ কথা নিয়ে কেশব তর্ক চালায় না। তিনটে আঙ্গুল গেছে, মাথা ফেটেছে, তবু হঠাৎ সে বন্ধুর সম্পর্কে দারুণ একটা ঈর্ষা অনুভব दtद । ভাবে, গাড়ী চালানো শিখে বড়লোকের গাড়ী চালানোর বদলে সে যদি কানুর মত গাড়ীগুলি মেরামত করার কাজ শিখত! জীবনের গতিটাই হয় তো তার একেবারে হয়ে যেত। অন্যরকম। রোগও হত না, ডাক্তার দত্তের কাছে চিকিৎসার জন্য ধন্নাও দিতে श्ठ व् । মেয়েলি মার্কা নয়, পুরুষালি মার্ক নয়, হিষ্টিরিয়া। তবু কি বিশ্রী রোগ। কানু মিস্ত্রী কেন, ঝাঁকা মুটে হয়েও যদি এ রোগের দায় এড়ানো যেত, তাও হত অনেক বড় সৌভাগ্যের কথা ।

কম্পেনশেসান পাবি না ? ; পাব না ? ইয়ার্কি নাকি ! তিনটে আঙ্গুল গেছে, মাথা ফেটেছে, কম্পেনশেসান পাব না ? দেবে তো কয়েকটা টাকা, আঙ্গুল তাতে জোড়া লাগবে ?

কাজের সঙ্গে জোর দিয়ে কথা বলতে যাওয়ায় মাথায় বোধ হয়। ঝাঁকি লাগে। কানু মুখ বিকৃত করে। কেশব বলে, যদি না দেয় ? যদি বলে তোর নিজের দোষে অ্যাকসিডেণ্ট হয়েছে ।

যদি না দেয় মানে ? ঘাড় দেবে! বেশ মোটারকম কম্পেনশেসান দেবে। নইলে বাছাধনকে ছেড়ে দেব ভেবেছিস ? পচা রাদি মেসিন দিয়ে কাজ চালাবে, অ্যাকসিডেণ্ট হলে কম্পেনশেসান দেবে। न-श्नांकि नांकि ?

'y RGQ আরোগ্য-৯