পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

; শুধু দেখে না এসে একটু সেবা যত্ন করলে ভাল হত। ভুবনন্দা একলা পারছে না । মিনু মুখ বাকিয়ে বলে, তোমাদের হুকুম হলেই গিয়ে সেবা করতে পারি । সঙ্গে তো আবার একজন পাহারা দরকার হবে ? আচ্ছা! সে আমি ঠিক করে নেব, ভোলা নয় খুকুকে সঙ্গে নিলেই হবে। মিনু নতমুখে দাড়িয়ে থাকে। কেশব টের পায় তার নিজের কিছু বলার আছে । তোমার মত না থাকলে এখানে হবে না, বুঝলে ? ছোড়দাদের জানিয়ে দেব, আমি রাজী নই, গোলমাল করব । তোমার কথার দাম দেব না ? একটা কিছু কারণ না থাকলে তুমি যেন এমনি অমত করছি । বাড়ীতে তার মান বজায় থাকবে বোনের এই আশ্বাসে কেশব স্বস্তিও পায় না, বোনের কাছে কৃতজ্ঞতাও বোধ করে না । আগেই সে টের পেয়েছে যে তার কথার দাম না দেবার মতলব বাড়ীর লোকের নেই । সেদিন যতই জোর গলায় বিদ্রোহ ঘোষণা করে থাক পরে নিজেদের মধ্যে পরামর্শ করেই সকলে চুপ হয়ে গেছে । তার মনের ভাবটা ভাল করে বুঝে তবে ওরা এগোবে। তার অমত যদি খুবই জোরালো হয় তাহলে অগত্যা সেটা মেনে নিতেই হবে সকলকে -কিন্তু সেদিনের রাগারগি ঝগড়াঝাটির পর কেশবের চরম জিদ। যদি খানিকটা নরম হয়ে থাকে, যদি টের পাওয়া যায় যে তার মতামত অগ্রাহ করলে খুব চটে যাওয়া ছাড়া সে বিশেষ কিছুই করবে না, তাহলে তার অমতেই মিনুর বিয়ে এখানে দেওয়া হবে। কেশব খুলী হতে পারে নি। এর চেয়ে সকলে তাকে অগ্রাহ করলেই যেন ভাল হত । রঞ্জনের ot