পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডাক্তার দত্ত সেদিনকার মত কেশবকে বিদায় দেয়। বুকে ষ্টেথ'স্কোপট পর্য্যন্ত লাগায় না ।

রোগটা দেখলেন না ? : না, আজ কেবল রোগীকে দেখলাম। রোগীকে না বুঝলে রোগ বুঝব কি করে ?

কেশব স্বস্তি পায় । কৃতজ্ঞতা বোধ করে। হঠাৎ যেন আশার গুঞ্জন শোনে। না, এ ডাক্তার সত্যি খুব ভাল। গোড়াতেই ঠিক ধরেছে তার রোগের একেবারে আসল কথাটি । রোগটা যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে তার জীবনে, তাকে ভাল করে না জানলে রোগ যে ধরা যাবে না, এটা অনুমান করতে দেরী হয় নি । ডাক্তারী-পরীক্ষার রিপোর্টগুলি নিয়ে পরদিন আবার তাকে যেতে दब्ला झुश । পরদিন রিপোটিগুলি দেখতে দেখতে ডাক্তার দত্ত বলে, বা ঃ, এ তো আৰ্দ্ধেক কাজ এগিয়ে আছে । পরীক্ষা ও চিকিৎসা মোটামুটি কি ভাবে কতদিন চলবে, খরচ কতদূর গড়াতে পারে এসব বিষয়ে সেদিন কথা হয়। ডাক্তার দত্ত বলে, তোমার কি অসুখ হয়েছে বলা কঠিন হবে না । কিন্তু আসল কথা হল কেন হয়েছে বার করা । আরেকটি কথা খুব পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়ে বলা হয় কেশবকে । ডাক্তারের কাছে কোন কথা গোপন করলে চলবে না।--তার নিজের জীবনের কথা। খোলাখুলি সব জানাতে হবে। ডাক্তার অবশ্য রোগীর সব গোপন কথা শোনে শুধু চিকিৎসার জন্য, ভাল মন্দ বিচারও করে না, ওসব কথা মনে করেও রাখে না । δ Σ. 8