পাতা:আরোগ্য - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্চর্য্য কিছুই নয়। কমলের মত সুস্থ সবল হাসিখুসীি মানুষটার মাথা যদি হঠাৎ এমন ভাবে বিগড়ে যেতে পারে, তার মাথায় গোলমাল হয়ে যাওয়া অসম্ভব কি । আশ্চর্য্য এই যে কথাটা ভেবে নির্ম্মলের মত তার আতঙ্ক জাগে না । পাগল যে হয়ে যায় তার ভাবনাই বা কি থাকে দুঃখ কষ্টের বোধই বা কি থাকে ? পাগল হলে তো আর চেতনা থাকে না যে আমি পাগল হয়েছি। ! অনি। আর্থিক অসুবিধা লছে। তবু সে জামাইকে স্পেশালিষ্ট দেখাবে । রোগটা কি এবং কেন। যদি জানা যায়। যদি অল্পদিনে রোগ সারিবার উপায় থাকে। রোগ সারলেও আক্রমণের অনেক নিদর্শন রেখে যাবে নিশ্চয় । কমলের কাকাকে দেখলেই সেটা টের পাওয়া যায়। পাগল না হলেও মানুষটা যে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক নয়, মাথার মধ্যে অনেকরকম পাগলামি বাসা বেঁধে আছে । কমলের বেলা এর যতটা সম্ভব প্রতিকার যদি করা যায় । তার রোগের কোন স্পেশালিষ্ট নেই ? কেশব ভাবে । কেউ বলে দিতে পারে না কি তার অসুখ, কেন সে ভুগছে, এ রোগের আরোগ্য আছে কি নেই ? স্পেশালিষ্ট অবলার পক্ষাঘাতের কারণ পষ্ট বলে দিয়েছেমেরুদণ্ডের ভিতরে কি যেন হয়েছে তার । একথাও জানিয়ে দিয়েছে যে অবলার সেরে উঠবার আশা নেই। জেনে অবলা যেন নিশ্চিন্ত হয়েছে । তার যদি এ জীবনে আরোগ্য লাভের আশা না থাকে, সেটা জানাই ভাল। দেহ মন একটু তাজা বোধ করলেই তার যে আশা Տ Գ আরোগ্য-৭