পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8፱” चार्य-नांदी । লুখজির হাতে পড়িলে তিনি অবমানিত বা উৎপীড়িত হইবেন। না। এই চিন্তা করিয়া একশত সহচরের উপর সাত মাস গর্ত্তবতী জিজার রক্ষার ভার দিয়া, জ্যেষ্ঠপুত্র শান্তাজি ও বাকী সৈন্য লইয়া তিনি দ্রুত পলায়নে বিজাপুরে উপস্থিত হইলেন। জিজা অচিরে পিতার হস্তে বন্দিনী হইলেন। লুখজি বন্দিনী কন্যাকে শিউনারী দুর্গে পাঠাইলেন। দেবতায়, দেবসেবায় ও ধর্ম্মে চিরদিনই জিজার প্রগাঢ় ভক্তি। এখন, স্বামী, পরিত্যাগ করিয়া গিয়াছেন, পিতাও শত্রুর পত্নী বলিয়া ভঁাহাকে বন্দিনী করিয়া রাখিয়াছেন ; সংসার-ধর্ম্ম বলিয়া, জিজার এখন আর কিছুই নাই। একান্ত মনে জিজা সেই দুর্গের অধিষ্ঠাত্রী শিবাই দেবীর আরাধনায় প্রাণ মন সঁপিয়া দিলেন । কিন্তু সংসারের সুখ সব ফুরাইলেও সন্তানের প্রতি মমতা নারীর কখনো ফুরাইতে পারে না। বন্দিনী অবস্থায় জিজার সংসারের আর কোন বন্ধন ছিল না। সত্য, কিন্তু গর্ত্তস্থ শিশুর প্রতি মাতার স্বাভাবিক মমতার টানে তঁর সর্বদা প্রাণ টানিত । সাংসারিক সুখের কোন সঙ্কীর্ণ ও স্বার্থগত লিপস। তঁহাতে ছিল না। পতিবিরহিতা বন্দিনী জীজা, সেই শিউনারী দুৰ্গে সন্তান লইয়া নুতন সংসার পাতিয়া|” সাংসারিক সুখে সুখী হইবেন, এ বাসনও কখনো মনে করেন নাই । তাহার মন কেবল বলিত-হিন্দু ধর্ম্ম ও হিন্দুজাতি ভারতে ছোট হইয়া আছে ; বীর ও ধার্ম্মিক পুত্র প্রসব করিবেন, সেই পুত্র ভারতে