পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चिछांदा है। b. এদিকে শিবাজিকে সংকল্পবিচুত করাও সহজ নহে। একটু চিন্তা করিয়া স্বামীজি কহিলেন,-“ভাল তাহাই হউক শির্বা, তোমার রাজ্য গ্রহণ করিলাম! তুমি আমার শিন্য, আমি আদেশ করিতেছি, আমার কর্ম্মচারীরূপে রাজা নামে রাজগৌরবে এ রাজ্য তুমি শাসন কর।” শিবাজি ইহার পর আর আপত্তি করিতে পারিলেন না । ভৌগলিপস একেবারে ত্যাগ করিয়া, গৃহধর্ম্মে ও রাজধর্ম্মে নিষ্কাম। গৃহী ও রাজার ন্যায় তিনি গুরুর গচ্ছিত রাজ্য শাসন করিতে লাগিলেন । আর একবার তুকারাম নামে আর একজন বিখ্যাত ধর্ম্মপ্রাণ ভক্ত সাধুপুরুষ এই সময়ে মারাঠাদেশে আবিভূতি হন। ইহার কবিত্ব শক্তিও বিশেষ প্রবল ছিল। অনেক ভজন ও কীর্ত্তন নিজে রচনা করিয়া ভক্তিগদগদ ভাবে ইনি গান করিতেন। অনেক লোক ইহার ভজনে ও কীর্ত্তনে মুগ্ধ হইয়া হঁহার শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। তুকারামের অনেক প্রশংসার কথা শুনিয়া শিবাজি রাজধানীতে ইহাকে আনিতে পাঠান। কিন্তু সাধুপুরুষ তাহার শান্তিময় নির্জন সাধনাশ্রম ছাড়িয়া রাজপুরীতে যাইতে চাহিলেন না। শিবাজি নিজেই তঁহার কুটীরে আসিলেন। ভুকারামের ভজনে কীর্ত্তনে এবং ধর্ম্মোপদেশে শিবাজির এতদূর সংসারবৈরাগ্য জন্মিল, যে, তিনি গৃহে না ফিরিয়া বনে ধর্ম্ম চিন্তায় মগ্ন হইয়া রহিলেন। এই সংবাদ পাইয়া জিজাবাই নিজে তুকারামের