কেবল অল্পসংখ্যক পণ্ডিতের নিকট বেদের কতকগুলি খস্ড়া আছে মাত্র এবং তাই থেকে কেহ কেহ কণ্ঠস্থ করেছেন। সুতরাং পরলোকগত জে, মিয়োর যখন বেদের একটা সংস্করণ প্রকাশ করবার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেন, তখন কোন ভারতবর্ষীয় পণ্ডিত এই কার্যে হস্তক্ষেপ করতে সাহস করলেন না।
“আমি যখন বেদের সংস্করণ প্রকাশ করবার জন্য প্যারিস, বার্লিন ও লণ্ডনের পুস্তকালয়ে বেদের যত খসড়া আছে, নীরবে সব সংগ্রহ করে, তা থেকে নকল করে ধারাবাহিকরূপে গোছ করিতেছিলাম, তখন দ্বারকানাথ খুব আগ্রহ সহকারে আমার কার্যাবলী দর্শন করতেন। ঠিক সেই সময়েই তোমার পিতা দেবেন্দ্রনাথ চারজন ব্রাহ্মণকুমারকে চতুর্বেদ শিক্ষা করবার জন্য কাশীতে পণ্ডিতদের কাছে পাঠান। আমি প্রথমে মনে করেছিলাম যে, বুঝি দ্বারকানাথ আমার বেদ প্রকাশ সম্বন্ধে পুত্রকে কিছু লিখে থাকবেন, এবং তাই থেকে কাশীতে ছাত্র পাঠাবার কল্পনা তাঁর মাথায় আছে, কিন্তু পরে তাঁর কাছ থেকে যে চিঠি পাই, তাতে জানালাম যে আমার ভ্রম হয়েছিল; দেবেন্দ্রনাথের বহুদিন থেকেই এরূপ মানস ছিল। বড়ই আক্ষেপের বিষয় যে, কোন ছাত্রই পরে কোন বিশেষত্ব দেখাতে পারে নাই।
মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর
“আমি কখনও তোমার পিতাকে দেখিনি, কিন্তু তাঁর নিকট থেকে আমি অনেকগুলি সুন্দর চিঠি পেয়েছি। তাঁর দেশের ধর্মোন্নতির জন্য তিনি যে সকল মহৎ অনুষ্ঠান করেছেন তাতে আমার আন্তরিক সহানুভূতি আছে। যদিও কেশবচন্দ্র সেনের সঙ্গে তাঁর ধর্মবিচ্ছেদ ঘটেছিল, তবু তিনি তাঁকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন।”
বিদায়কালীন পূর্ব কথা স্মরণ করে তিনি বল্লেন, “Oh! I