পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ, ১৩২০ । ৩ কবি বিহারীলাল-চক্রবর্তী ••१ কবি বিহারীলাল চক্রবর্ত্তী। ( R ) উনবিংশতি বর্ধ বয়ঃক্রমের সময় বিহারীলালের প্রথম বিবাহ হয়। বিবাহের চারি বর্ষ পরেই তাহার প্রথমা পত্নী অভয়া দেবীর একটি মৃত সন্তান প্রসবের পর সূতিকাগারেই মৃত্যু হয়। বিহারীলাল ‘বন্ধুবিয়োগ কাব্যের “সরল” নামক সর্গে তাহার সাময়িক শোকোজ্জ্বাস লিপিবদ্ধ করিয়া গিয়াছেন। পঞ্চবিংশতিবর্ষ বয়ঃক্রমের সময় বিহারীলাল দ্বিতীয় বার দারপরিগ্রহ করেন। বিহারীলালের দ্বিতীয়া পত্নী কাদম্বরী দেবী সুশিক্ষা পাইয়াছিলেন এবং তিনি পতির কবিত্বের অনুরাগিণী ছিলেন। তিনি স্বামীর কবিতারচনায় সহানুভূতি দানে এবং রূপে ও গুণে স্বামীকে আজীবন মুগ্ধ রাখিয়াছিলেন। বিহারীলালের অপরিসীম পত্নীপ্রেম তাহার অধিকাংশ রচনাতেই পরিব্যক্তি। “সারদা মঙ্গল” কাব্যের শেষ গীতটি বিহারীলালের পত্নী-প্রেমাত্মক রচনার চুড়ান্ত নিদর্শন। BDDD BDuD DB BBB BD DDDBS BgDD BBBDB DDD নাই। তঁহার পিতা যাহা উপার্জন করিতেন, তাহাতেই সংসার চলিয়া যাইত। কিন্তু এই সময়ে তাহর পিতার শরীর অসুস্থ হওয়াতে র্তাহাকে অর্থে পার্জনের জন্য সচেষ্ট হইতে হয়। বিহারীলাল তাহার বন্ধু শ্রীযুক্ত নীলাম্বর মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের সাহায্যে কাশ্মীরী রেশম রপ্তানী করিবার ভার প্রাপ্ত হয়েন। নীলাম্বর বাবু তৎকালে কাশ্মীর-রাজ্যে মন্ত্রিপদে অভিষিক্ত ছিলেন। কিন্তু বিহারীলাল সেই রেশমের ব্যবসায়ে লিপ্ত থাকিলে তাহার আত্মসম্মান লাঘব • হইবার আশঙ্কা দেখিলেন এবং উহা ত্যাগ করিলেন । অনুমান চল্লিশ বৎসর বয়সে বিহারীলালের পিতার মৃত্যু হয়। সেই সময় হইতে জীবনান্ত কাল পর্যন্ত বিহারীলাল পৈত্রিক যজমান রক্ষা করিয়া সংসারযাত্রা নিৰ্বাহ করিয়া গিয়াছেন। কমলার কৃপাপাত্র সুবর্ণবণিক সম্প্রদায়ের পৌরোহিত্য করিয়া তিনি মাসিক প্রায় আড়াই শত টাকা উপাৰ্জন করিতেন। বিহারীলাল মিতবান্ধী ছিলেন না, অধিকন্তু তিনি দয়ালু ছিলেন। সুতরাং তিনি । যাহা কিছু উপার্জন করিতেন, সমস্তই ব্যয় করিয়া ফেলিতেন। তিনি স্ত্রীপুত্র কন্যাগণকে অত্যন্ত ভালবাসিতেন, এবং তাঁহাদের সুখ-স্বচ্ছন্দতা