পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ, ১৩২০ । পুরাতন প্রসঙ্গ । s«s পুরাতন প্রসঙ্গ। ( & ) ১২ই জ্যৈষ্ঠ, ১৩২ • । আচার্য্য শ্রীযুক্ত কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য্য মহাশয় বলিলেন, “বিদ্যাসাগরের একটা চিরকালের অভ্যাস ছিল যে প্রায় ছোকরা দলের সকলকেই তিনি কখনও ‘তুই’ ছাড়া ‘তুমি’ বলিতে পারিতেন না। তিনি আমাকে যে ‘তুই’ বলিতেন তাহার যথেষ্ট কারণ ছিল। আমি যখন ৬৭ বৎসর বয়সে কেবল আব্দার করিয়া আমার দাদার সঙ্গে কলেজে যাইতাম, প্রত্যহ তঁহাদের ক্লাসের ঘরের এক পাশে সমস্ত দিন বেঞ্চের উপর গড়াগড়ি দিয়া বৈকালে র্তাহার সঙ্গে বাড়ী আসিতাম, তখন বিদ্যাসাগর এক দিন (তিনি তখন সংস্কৃত কলেজের সহকারী সম্পাদক ছিলেন ) আমাকে লইয়া নিয়তম শ্রেণীতে প্রাণকৃষ্ণ বিদ্যাসাগরের ঘরে ভর্ত্তি করিয়া দিলেন। সেই অবধি প্রায় আমার চল্লিশ বৎসর বয়স পর্য্যন্ত তাহার কাছে যাতায়াত করিয়াছি, কখনও ‘তুই’ ব্যতীত “তুমি’ সম্বোধন পাই নাই। ইহা যে কখনও আমার মন্দ লাগিয়াছিল এমন কথা আমি বলি না ; আমি বরং ভাবিতাম যে, তিনি যেরূপ বয়োজ্যেষ্ঠ ও আমাকে যে স্নেহ করেন, ‘তুই’ সম্বোধন তাহারই পরিচায়ক মাত্র। কিন্তু বেশ বুঝিতে পারিতাম যে, ইহা সকলের ভাল লাগিতা না। সংস্কৃত কলেজের একজন লাইব্রেরিয়ান ছিলেন ; তঁহার নাম DDBSY S DBK S SDBOD DBBDD BDD DBDDBBS BDD DBBBD LLLtL ছিলেন ; এক দিন তিনি কথা প্রসঙ্গে বলিলেন “তুই বলিতে যতক্ষণ, তুমি বলিতেও, ততক্ষণ ; তবে যে বিদ্যাসাগর মহাশয় যাহাকে তাহাকে তুই বলিয়া বসেন, তুমি বলিতে বড়ই বিমুখ, ইহার মানে বুঝা যায় না।” উমেশ গুপ্ত এই কথা বিরক্তির ভাবেই বলিয়াছিলেন। কিন্তু সমস্ত পর্য্যালোচনা করিয়া আমার এই বোধ হয় যে, এই অভ্যাসটি বিদ্যাসাগরের সারল্যগুণের পরাকাষ্ঠার পরিচায়ক মাত্র। ইংরাজিতে যাহাকে affectation বলে বিদ্যাসাগরের সেটি আদৌ ছিল না ; যাহাকে যে ভাবে একবার দেখিয়াছেন, বাহ্যিক লোকদেখান বৃত্তির বশবর্ত্তী হইয়া সেটা পরিবর্তন করিতে তাহার যেন ভাল লাগিতা না। তিনি আপনার মা’কে ছেলে বেলা হইতে যে ‘তুই’ সম্বোধন করিতেন, মাতার মৃত্যুকাল পর্যন্ত তাহার পরিবর্তন করেন নাই।