পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্য্যাবর্ত্ত। » «-R. setT وهد বুদ্ধস্থি। [ কয়মাস পূর্বে পেশোয়ারের নিকট কনিষ্কের কীর্ত্তি স্তুপের ভগ্নাবশেষ আবিষ্কৃত হইয়াছে। এই ভগ্নাবশেষ্যমধ্যে-ভূগর্ভে প্রোথিত আধারে বুদ্ধাপ্তি পাওয়া গিয়াছে। পেশোয়ারে এই স্তুপের বিষয় বহু চীন দেশীয় পর্যটক বলিয়া গিয়াছেন। পেশোয়ারের বিবরণ লিখিবার সময় প্রসিদ্ধ প্রত্নতত্ত্ববিদ ও পুরাতত্ত্ববিদ কানিংহাম সে কথার উল্লেখ করিয়াছিলেন। কানিংহামের বিবরণ পাঠে জানা যায়, ৪০০ খৃষ্টাব্দে ফা হিয়েন ফো-নিউ-সা বলিয়া পেশোয়ারের উল্লেখ করেন। পরে ৫০২ খৃষ্টাব্দে সৃং ইউন ইহার উল্লেখ করেন। তৎকালে গান্ধারের নৃপতির সহিত কাবুল, গজনী ও সন্নিহিত প্রদেশের রাজার যুদ্ধ চলিতেছিল। ৬৩০ খৃষ্টাব্দে হিউয়েন সাং যখন ভারতে আসেন তখন গান্ধার কাবুলের অধীন। কিন্তু পূৰ্বরাজধানী পেশোয়ার (পরশওয়ার ) তখনও সমৃদ্ধির সমুচ্চ চুড়ায় সমাসীন। ইহার পর খৃষ্টীয় দশম শতাব্দীতে মাসুদী, একাদশ শতাব্দীতে রিহান ও ষোড়শ শতাব্দীতে বাবর ইহার উল্লেখ করিঃছেন। আকবর পরশওয়ার নাম পরিবর্ত্তিত করিয়া পেশোয়ার (সীমান্ত নগর ) নাম রাখিয়াছিলেন। এই স্থানে বুদ্ধের কমণ্ডলুর ও একটি বিতত বহুশাখ বৃক্ষের উল্লেখ—সকল বিবরণেই পাওয়া যায়। কিম্বদন্তী ছিল যে, এই বৃক্ষ ছায়ায় সমাসীন হইয়া বুদ্ধদেব কনিস্কের আবির্ভাবের কথা ভবিষ্যৎবাণী করিয়াছিলেন । ফা হিয়েন এই বৃক্ষের উল্লেখ করেন নাই। কিন্তু সুং ইউন এই ঘনপল্লব বৃক্ষের উল্লেখ করিয়াছেন। বৃক্ষমূলে পূৰ্ববর্ত্তা চারজন বুদ্ধের মূর্ত্তি প্রতিষ্ঠিত ছিল। ১৫০৫ খৃষ্টাব্দে বাবর এই বৃক্ষ দেখিয়াছিলেন। তখন এই বৃক্ষ অন্ততঃ ১৫০০ বৎসরের। ১৫৯৪ খৃষ্টাব্দে “আইন আকবরীতে’ ইহার উল্লেখ না থাকায় অনুমান হয়, তৎপূর্বেই বৃক্ষটি মরিয়া গিয়াছিল। কনিফের স্তুপ এই বৃক্ষের দক্ষিণে অস্থিত ছিল। ফা হিয়েন বলেন, ইহা ৪০০ ফিট উচ্চ এবং বহু বহুমূল্য দ্রব্যে মণ্ডিত। সুং ইউন বলেন, প্রকাশ, ভারতে ইহার তুল্য স্তুপ আর নাই। ১৮৭১ খৃষ্টাব্দে কানিংহাম লিখিয়াছিলেন,- “এখন আর এই স্তুপের কোন নিদর্শন নাই।” দীর্ঘকাল পরে এই স্তগের ভগ্নাবশেষের ও বৃদ্ধস্থির আবিষ্কার প্রত্নতত্ত্বের হিসাবে বিশেষ স্মরণীয় ঘটনা ; ভারত সরকার এই বুদ্ধস্থি ব্রহ্মদেশে সংস্থাপিত করিতে দিয়াছেন। ব্রহ্ম হইতে র্যাহারা বুদ্ধস্থি লাইতে আসিয়াছিলেন, তঁহা