পাতা:ঠাকুরমার ঝুলি.djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—দুধের সাগর যাইতে, যাইতে, অনেক দূরে গিয়া, শীত বনের মধ্যে এক সরোবর দেখিতে পাইলেন। জলের তৃষ্ণায় বসন্ত না-জানি কেমন করিতেছে,-কিন্তু কিসে করিয়া জল নিবেন ? তখন, গায়ের যে চাদর, সেই চাদর খুলিয়া, শীত সরোবরে নামিলেন । সেই দেশের যে, রাজা মারা গিয়াছেন। রাজার ছেলে নাই, পুত্ৰ নাই, রাজসিংহাসন খালি পড়িয়া আছে। রাজ্যের লোকজনে শ্বেত রাজহাতীর পিঠে পাটসিংহাসন উঠাইয়া দিয়া হাতী ছাড়িয়া দিল । হাতী যাহার কপালে রাজটিকা দেখিবে, তাহাকেই রাজসিংহাসনে উঠাইয়া নিয়া আসিবে, সে-ই রাজ্যের রাজা হইবে। রাজসিংহাসন পিঠে শ্বেত রাজহাতী, পৃথিবী ঘুরিয়া কাহারও কপালে রাজটিকা দেখিল না । শেষে ছুটিতে ছুটতে, যে বনে শীত বসন্ত, সেই বনে আসিয়া দেখে, এক রাজপুত্র গায়ের চাদর ভিজাইয়া সরোবরে জল নিতেছে — রাজপুত্রের কপালে রাজাঁটক ! দেখিয়া, শ্বেত রাজহাতী অমনি শুড়ি বাড়াইয়া শীতকে ধরিয়া সিংহাসনে তুলিয়া নিল।।* “ভাই বসন্ত, ভাই বসন্ত” করিয়া শীত কত কঁাদিলেন । হাতী কি তাহ মানে ? বন-জঙ্গল ভাঙ্গিয়া, পাট-হাতী শীতকে পিঠে করিয়া চুটিয়া গেল। ( ( ) জল আনিতে গেল, দাদা আর ফিরে না । বসন্ত উঠিয়া, সকল বন খুজিয়া, “দাদা, দাদা” বলিয়া ডাকিয়া খুন হইল । দাদাকে যে, হাতীতে নিয়াছে, বসন্ত তো তাহ জানে না ; বসন্ত so .ܡ ܦܛܢ ܐܝܼ

  • ছবি ৯১ পৃষ্ঠায়