পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘৩৬৪ আর্য্যাবর্ত্ত ৷৷ ৪র্থ বর্ষ-৫ম সংখ্যা। করিয়াছিলেন। তৎপরে তাহারা কিয়ৎকাল যাবৎ শান্তি ভোগ করিয়াছেন। . কিন্তু অত্যন্ত্রকালমধ্যেই ব্যবস্থাপক-সমিতির সহিত রাজার সংঘর্ষণ উপস্থিত হইল। ইতঃপূর্বে জাতীয়-সমিতি অভিনব প্রকারে শাসন-শক্তির প্রতিষ্ঠা করিয়া তৎসংরক্ষণকল্পে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইবার নিমিত্ত সর্বসম্প্রদায়ের প্রতি অনুজ্ঞা প্রচার করিয়াছিলেন। বিপ্লব নিবারণপূর্বক অচিরে শান্তি সংস্থাপনের নিমিত্ত ফরাসী দেশের আবালবৃদ্ধবনিতা সমিতির আদেশ তৎকালেই প্রতিপালন করিয়াছিল ; কিন্তু কতকগুলি সঙ্কীর্ণ-হৃদয় স্বার্থপর ধর্ম্মযাজক শক্রতা সাধনমানসে অনভিজ্ঞ কৃষকগণকে শান্তিভঙ্গকল্পে কুপরামর্শ দিতে লাগিলেন। বিচার শক্তিবিহীন কৃষকমণ্ডলী এইরূপে প্ররোচিত হইয়া নানা স্থানে নাম প্রকারে উপদ্রব আরম্ভ করিল। আবার অপর দিকে দেশত্যাগী ভূস্বামিগণ ব্যবস্থাপক সমিতির আশঙ্কার ও উৎকণ্ঠার কারণ হইয়া দাড়াইলেন। র্তাহারা বিপ্লব-সমাগমে দেশত্যাগী হইয়া সুইটজারল্যাণ্ড, ইংলণ্ড, অষ্ট্ৰীয়া প্রভৃতি য়ুরোপের ভিন্ন ভিন্ন দেশে বাস করিতেছিলেন। এইক্ষণ বিদেশীয় ভূপতিগণের সাহায্য-গ্রহণে প্রতিষ্ঠিত শাসনের ধ্বংসসাধন পূর্বক যাদৃচ্ছি-শাসন প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত র্তাহারা কৃতসঙ্কল্প হইয়াছেন। উভয়বিধ শক্রিগণের হস্ত হইতে পরিত্রাণমানসে ব্যবস্থাপক সমিতির সভ্যগণ উদ্যম ও অধ্যবসায় সহকারো কার্য্যানুষ্ঠানে প্রবৃত্ত হইলেন, সমিতি-গৃহে অচিরে দুইটি ব্যবস্থা প্রণীত হইয়া ফরাসিরাজের অনুমোদনের নিমিত্ত রাজভবনে প্রেরিত হইল। প্রথমটির মর্ম্ম এই যে, বিরুদ্ধাচারী ধর্ম্মযাজকগণ অনতিবিলম্বে প্রতিষ্ঠিত শাসন-সংরক্ষণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ না হইলে তাহদের যথাসর্ব্বস্ব রাজকোশভুক্ত হইবে। দ্বিতীয়টি প্রবাসী ভূস্বামিগণের সম্বন্ধে। ইহার মর্ম্ম এই যে, ভূস্বামিগণ ১৭৯২ খৃষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারীর পূর্বে স্বদেশে প্রত্যাগত না হইলে, তাহারা প্রতিষ্ঠিত শাসনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী বলিয়া তঁহাদের প্রাণদণ্ড এবং তঁহাদের স্থাবর অস্থাবর যাবতীয় সম্পত্তি রাজকোশভুক্ত হইবে। বিরুদ্ধাচারী ধর্ম্মযাজক ও প্রবাসী ভূস্বামিগণের মনোরথ পূর্ণ হইলে মৃতকল্প রাজশক্তি পুনৰ্বার সঞ্জীবিত হইয়া ফরাসিরাজের অদৃষ্ট-গগনে সৌভাগ্য রবি সমুদিত হইবার সম্ভাবনা। সুতরাং ষড়যন্ত্রকারিগণের কার্য্যকলাপের অন্তরালে রাজহস্ত প্রচ্ছন্নভাবে সংসৃষ্ট না থাকিলেও তাঁহাদের প্রতি রাজার আন্তরিক সহানুভূতি থাকা আস্বাভাবিক নহে। সেই জন্যই