পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৪২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র, ১৩২০ । নবীনচন্দ্রের কাব্যে কৃষ্ণচরিত্র । (Oro বসিয়া নানা শাস্ত্র ও শস্ত্র শিক্ষা করিতে লাগিলেন। সেই শিক্ষাপ্রভাবেই অঘ, বক, প্রলম্ব, পুতনা প্রভৃতি হিংসাকারী এবং মহাপরাক্রমশালী অত্যাচারী অনার্য্য কালীয় নিধন প্রাপ্ত হইল । একদা যখন বর্ষাধারাপাতে কাতর ক্ষুধার্ত্ত গোপবালকগণ ঋষি আশ্রমে অন্ন ভিক্ষা করিতে যাইয়া রিক্তহস্তে প্রত্যাবর্ত্তন করিল ;-ঋষিগণ ধর্ম্মবিরুদ্ধ বোধে নীচ গোপ জাতিকে যজ্ঞের অন্ন প্রদান করিলেন না।--তখন বালক কৃষ্ণের হৃদয়ে ভাবনার প্রথম ছায়াপাত হইল। “নীচ জাতীয় ক্ষুধার্ত্তকে অন্ন না দেওয়াই কি ধর্ম্ম ? সকল জাতির ক্ষুধা তৃষ্ণার অনুভূতি কি সমান নহে ?” ‘একই মানব:সব, একই শরীর, একই শোণিত মাংস, ইন্দ্রিয় সকল ; জন্ম মৃতু্য একরূপ ; তবে কি কারণ g0 DKKDLDB BDDDB BBD DBEE S এই রূপ ভাবিতে ভাবিতে কৃষ্ণ তন্দ্রাভিভূত হইলেন। তিনি তন্দ্র - ঘোরে অনন্তসৌন্দর্য্যময়, অনন্তশক্তিময় বিশ্বেশ্বরকে বিশ্বায়ুজে অধিষ্ঠিত দেখিলেন। সে বিশ্বেশ্বর বিষ্ণু। তিনি তন্দ্রাঘোরেই যেন শুনিলেন, ‘একমেবাদ্বিতীয়ম্।।” তিনি বৃন্দাবনে স্বপ্নদৃষ্ট বিশ্বেশ্বর বিষ্ণুর পূজা প্রবর্তিত করিলেন। হইয়াছিল। ইন্দ্রপূজকগণ ইহাতে প্রবল বাধা দিয়াছিল। কৃষ্ণ অমিতশক্তিদ্বারা সমস্ত বাধা বিন্নাই দলিত করিয়াছিলেন । এই স্থানেই কৃষ্ণ-প্রচারিত নব ধর্ম্মমতের অর্থাৎ বৈষ্ণব ধর্ম্মের অন্ধুর। এই ধর্ম্মের পূর্ব-পরিণতি আমরা “প্রভাসে’ দেখিতে পাই । ইহার পরেই কৃষ্ণের প্রকৃত কর্ম্ম-জীবনের আরম্ভ । এই স্থান হইতে বৃন্দাবনবাসীর আদরের ধন কৃষ্ণ পাচনি, পীয়ুষ্যবৰ্ষা বেণু এবং তৃণশ্যামল গো-চারণ-ভূমি পরিত্যাগ করিয়া দুষ্কৃত দমনের জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়াছেন। দুষ্ট কংসের অত্যাচার উৎপীড়নে নরনারী দুৰ্দশার চরম সীমায় উপনীত। অত্যাচারী প্রবলের হুঙ্কার অত্যাচরিত দুর্ব্বলের হাহাকার কৃষ্ণের মর্ম্ম স্পর্শ করিল ; তিনি কংসকে বধ করিলেন । কংসবধ করিয়া তিনি মথুরারাজ্য উগ্রসেনকে দান করিলেন। দুষ্কতদমনই র্তাহার উদ্দিষ্ট, রাজ্যাধিকার নহে। ইহাই তাহাব নিষ্কাম কর্ম্মের