পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/২৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vertvirto, >VORo See ২২১ নরেশচন্দ্র ব্রজগোপালকে ডাকিয়া বলিলেন, “আপনি বর সভাস্থ করুন।” কন্যাকর্ত্ত চারিদিকে চাহিলেন, কিন্তু রামচরণ কই ? বিস্ময়বিম্বফারিত নেত্রে তিনি নরেশচন্দ্রের পানে চাহিলেন । গম্ভীর ভাবে নরেশ ডাকিলেন, “অনিল ।” নতমস্তকে ভ্রাতুষ্পত্র খুল্লতাতের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল । “ব্রজ বাবু, এই আপনার কন্যার পাত্র । ভয় নাই, অশাস্ত্রীয় কোন কাব্য হয় নাই। অনিল সারাদিন উপবাসী আছে। শাস্ত্রীয় আচার সমস্তই পালন করা হইয়াছে। আপনি উহাকে লইয়া যাইবার ব্যবস্থা করুন ?” ঘোষ মহাশয় কয়েক মুহুর্ত্ত স্তম্ভিত হইয়া দাড়াইয়া রহিলেন। এ কি সম্ভব, বিশ্বাসযোগ্য ? তিনি স্বপ্ন দেখিতেছেন না। ত ? এ যে দরিদ্রের কোহিনুর লাভের মত সম্পূর্ণ অবিশ্বাস্য, অসম্ভব ঘটনা ! “বেহাই, আর দাড়াইয়া কেন ? লগ্ন উপস্থিত। দাদা, তুমি অনুমতি Ng ” বরকে পট্টবস্ত্র পরাইয়া পরামাণিক বিবাহের আসরে লইয়া গেল। তখন চারি দিক হইতে দ্বিগুণ উৎসাহে মুহুমহু শঙ্খধ্বনি হইতে লাগিল । “ব্রজ বাবু, আপনার সুলক্ষণা সুন্দরী কন্যাটিকে দেখিয়া আমি মুগ্ধ হইয়াছিলাম। অনিলের জন্য অনেক সম্বন্ধ আসিয়াছিল ; কিন্তু এমন মেয়ে বোধ হয় কোথাও পাইতাম না। এ বিষয়ে সকলের সঙ্গেই আমি একটু লুকাচুরী করিয়াছি। সেটা আমার স্বভাব। সে অপরাধ আপনার সকলেই অনুগ্রহ করিয়া ক্ষমা করিবেন। এই বেচাকেনার দিনে দরদস্তুর করিতে অনেকেই ভালবাসেন ; কিন্তু আমি কৃপণ হইলেও, বেচাকেনার মধ্যে নাই। সেটা আমার বংশের, পিতৃপুরুষের অপমান । এজন্য এতটা গোপনে আমায় কাব্য করিতে হইয়াছে। আগে সংবাদ পাইলে অনেক ঐশ্বর্য্যশালী মহাত্মা আমার মেহের অনিলকে কিনিবার জন্য টাকার প্রলোভন দেখাইতেন। হয়ত বা সে প্রলোভন দমন করিতে পারিতাম না। তাই এই লুকাচুরীর অভিনয়। তবে দাদা হয়’ত নিজেকে কিছু ক্ষতিগ্রস্ত মনে করিয়াছেন। তা’ সে ব্যবস্থাও আমি করিয়াছি।” নরেশচন্দ্র পকেট হইতে কতকগুলি কাগজ বাহির করিলেন। তাহার পর একখানি রেজেক্ট্রীকরা দলিল জোষ্ঠের হস্তে দিয়া বলিলেন, “আজীবন কষ্ট করিয়া যাহা কিছু সঞ্চয় করিয়াছিলাম, আজ অনিলের বিবাহে যৌতুক