পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৪৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র, ১৩:২০, লালা কীর্ত্তিনারায়ণ । 82a বলিয়া পরিগণিত ছিলেন। ভুলুয়াধিপতি এই চারি জনের অনুগ্রহপ্রার্থ হওয়ায় সকলেই ভঁাহাকে সহায়তা করিতে প্রতিশ্রুত হইলেন। রাজা লক্ষ্মণমাণিক্যের গৃহে কোন এক বিবাহ-ব্যাপারে, এই সকল দলপতি নিমন্ত্রিত হইয়া স্ব স্ব দলবলসহ ভুলুয়াতে আগমন করিলেন। কিন্তু বিক্রমপুরের সকল সামাজিক তাহাতে যোগদান করিলেন না। এই নিমিত্ত রাজগণের আদেশে ঘটকগণ উক্ত সামাজিকগণকে কুলচু্যত করিয়া নিম্নোদ্ধত শ্লোকটি রচিত করিলেন “বেজ গ্রামে স্থিতাঃ সর্ব্বে যে চতুর্ম্মণ্ডলে স্থিতাঃ। চান্দনী চাকুলীমেব নাস্তি তেষাং কুলংবুধাঃ ॥” এইরূপে বিক্রমপুর বেজিগা, চতুর্ম্মণ্ডল, চান্দনী, চাকুলী গ্রামবাসীরা কুলভ্রষ্ট হইয়া পড়িল। আবার অপরদিকে ভূষণা-সমাজের অন্তৰ্গত উজানীর রাজবংশও এইরূপ জাত্যন্তর হইতে কায়স্থ-সমাজে প্রবেশ লাভ করেন । ৬/কৃষ্ণজীবন যদিও এই সময়ের বহু পরেই বেজাগ্রামে আগমন করিয়াছিলেন তথাপি তাহাকে কুলভ্রষ্ট গ্রামে আগমন ও বসবাসহেতু কুলীন হইতে কুলজে নামিতে হইয়াছিল। ৬/কৃষ্ণজীবন বসুর পুত্র ৬/কংশনারায়ণ বসু রায়েসবর। (বর্ত্তমান শ্রীনগর ) নিবাসী ৬/রামচন্দ্র গুহের কন্যা বিবাহ করিয়া রায়েসবরে আসিয়া বাস স্থাপন করেন। কালক্রমে এই স্ত্রীর গর্ভে কংসনারায়ণের তিন পুত্র ও তিনটি কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে । লালা কীর্ত্তিনারায়ণ কংশনারায়ণের প্রথম পুত্র। কীর্ত্তিনারায়ণ কায়স্থ হইয়াও আলস্যে কাল কাটাইতে লাগিলেন । কর্ত্তব্যবিমুখ পুত্রকে কার্যক্ষম করিবার জন্য কংশনারায়ণ চেষ্টার ক্রটী করেন নাই ; কিন্তু সফলকাম হইতে পারেন নাই। এক দিন একান্ত বিরক্ত হইয়া কংশনারায়ণ তদীয় স্ত্রীকে আদেশ করিলেন, “ইহাকে ভাতের পরিবর্তে ছাই বাড়িয়া দাও।” স্ত্রী স্বামীর আজ্ঞানুবর্ত্তিনী ; সুতরাং মা হইয়াও পতির আজ্ঞা পালন জন্য পুত্রের ভাতের পার্শ্বে যৎকিঞ্চিৎ ছাই রাখিয়া দিলেন। যথা সময়ে কীর্ত্তিনারায়ণ ভোজন করিতে আসিয়া উহা লক্ষ্য করিলেন । তিনি সেই দিনই বাটী পরিত্যাগ করিয়া ঢাকা নগরে উপস্থিত হইলেন । তৎকালে মহারাজা রাজবল্লভ ঢাকার একপ্রকার সৰ্বেসর্ব্ব ছিলেন । কীর্ত্তিনারায়ণ রাজবল্লাভের শরণাপন্ন হওয়াই যুক্তিযুক্ত বিবেচনা করিলেন । পরে রাজবল্লাভের অনুগ্রহে সামান্য মোহরের-পদ হইতে নিজ বুদ্ধিমত্তায় ও কার্য্য