পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৪৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র, ১৩২০ অনিন্দ্যা। ėda করিলেন। তিনি পরীক্ষণেই শয্যাত্যাগ করিয়া উঠিয়া যাইতেছিলেন; কিন্তু কি মনে করিয়া একটু দাড়াইলেন এবং স্ত্রীকে সম্বোধন করিয়া দৃঢ়স্বরে বলিলেন, “অশ্বারোহণে আমার সঙ্গে যাইবার জন্য প্রস্তুত হও ”, এই কথা বলিয়া তিনি চলিয়া গেলেন। অনিন্দ্যা কিছুই বুঝিতে পারিলেন না ; কিন্তু স্বামীর ভাবভঙ্গী দেখিয়া তাহার বড় ভয় হইল । ammudha snagbugnae নবম পরিচ্ছেদ । নিরুদেশ যাত্রা । গিরণ যখন প্রত্যুষে স্ত্রীকে লইয়া অশ্বারোহণে প্রাসাদ ত্যাগ করিয়া বহির্গত হইলেন, তখন তাহাতে কেহই আশ্চর্য্যান্বিত হইলেন না। এমন তখন প্রায়ই হইত। দুই জন পাশ-পাশি দুইটি অশ্বে আরোহণ করিয়া গমন করিতেছিলেন। কাহারও মুখে একটিও কথা নাই। ক্রমে নগর ছাড়াইয়া ভঁাহারা একটি বনের মধ্যে প্রবেশ করিলেন। গিরণ তখন পত্নীকে অগ্রগামিনী হইতে আদেশ করিলেন এবং অতঃপর তঁহাকে আর কোন কথা কহিতে নিষেধ করিয়া দিলেন । কিছু দূর এইরূপে অগ্রসর হইলে অনিন্দ্যা দেখিতে পাইলেন যে, অদূরে, কয়েকটি বৃক্ষের অন্তরালে, তিন জন সুসজ্জিত অশ্বারোহী তাহাদিগকে লক্ষ্য করিতেছে। তাহদের ভীষণ আকার ও সন্দেহজনক ভাবভঙ্গী দেখিয়া অনিন্দ্যা শঙ্কিত হইলেন। তাহারা যে দুষ্ট লোক এবং দসু্যতাই যে তাহাদের উদ্দেশ্য, তাহা তিনি বেশ বুঝিতে পারিয়া গিরণকে সাবধান করিয়া দেওয়া আবশ্যক মনে করিলেন। কারণ, তিন জন সুসজ্জিত অশ্বারোহী দসু্য যদি অতর্কিতভাবে একজনকে আক্রমণ করে, তাহা হইলে তঁহার প্রাণসংশয় । এ দিকে আবার স্বামীর কঠিন আদেশ । ‘না হয় তিনি আমার উপর অসন্তুষ্ট হইবেন । তাই বলিয়া কি তঁহাকে আসন্ন বিপদের কথা জানাইব না ?” এই ভাবিয়া অনিন্দ্যা দাড়াইলেন এবং স্বামী নিকটবর্ত্তীর্ণ হইলে তঁহাকে সম্মুখের বিপদের কথা জ্ঞাপন করিলেন। দাসু্যরা তখন ফিসফিস করিয়া কি কথা কহিতেছিল।