পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৪২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V)So আর্য্যাবর্ত্ত । ৪র্থ বর্ষ-৫ম সংখ্যা । থাকে, কিম্বা বাগদত্ত প্রণয়িনী না থাকে, তাহা হইলে এই যুদ্ধ-ক্রীড়ায় তোমার যোগদান করিবার অধিকার থাকিবে না । ইহাই তাহার নিয়ম।” গিরণের মনের মধ্যে একটা বিদ্যুৎ-প্রবাহ বহিয়া গেল। তখনই এক প্রবল চেষ্টায় লজ্জা ও সঙ্কোচের বাধ ভাঙ্গিয়া ফেলিয়া তিনি বলিলেন,- *स्त्रक्षेि ५शंन७ ख्झुङद्ध । किरु-” “কিন্তু কি, বৎস ?" বলিয়া অনিল উৎসুক ভাবে কুমারের মুখ নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন । “কিন্তু আপনার কন্যাকে কি আমি পত্নীরূপে পাইবার আশা করিতে পারি না ?’ ধীরে ধীরে নতমুখে গিরণ এই কয়টি কথা বলিলেন। বৃদ্ধের নিকট এই প্রস্তাব যেন অত্যন্ত অসম্ভব বলিয়া বোধ হইল । কৌশলের যুবরাজ গিরণকে যে তিনি জামাতৃরূপে পাইবেন। এরূপ উচ্চাকাজক্ষা তিনি কখনও হৃদয়ে পোষণ করিতে পারেন নাই। আর এখনও ত তিনি কপৰ্দকহীন। তিনি বলিলেন-“একি বলিতেছে, কুমার ? আমার ন্যায় রাজ্যহীন দরিদ্রের সহিত তোমার পিতা বৈবাহিকসূত্রে আবদ্ধ হইতে সন্মত হইবেন কেন ? তুমি কি তোমার পিতার অমতে বিবাহ করিতে চাহ ?” গিরণ এবার একটু উত্তেজিত স্বরে বলিলেন,-“কাল আর আপনি রাজ্যহীন থাকিবেন না । হয় আমি দুরাত্মাকে বধ করিয়া আপনার রাজ্য উদ্ধার করিব, নহে ত আমি প্রাণ বিসর্জন করিব।” বৃদ্ধ তখন গদগদ স্বরে কহিলেন,-“আশীৰ্বাদ করি, বৎস, তুমি সফলকাম হও । তোমার ন্যায় পাত্রে আমি কন্যা সম্প্রদান করিতে পারিব, এ যে আমার স্বপ্নেরও অতীত ছিল ! এই সুখ আমার কপালে ছিল বলিয়াই বুঝি ভগবান আমাকে দুরবস্থায় ফেলিয়াছেন। হয় । এ সময় অনিন্দ্যার মাতা কোথায় ?” বলিতে বলিতে তাহার চক্ষু বাষ্পপূর্ণ হইল। ক্ষণকাল পরে তিনি বলিলেন,-“তোমাকে বলিতে ভুলিয়া:গিয়াছি যে, এই দৈন্যক্লেশ সহ করিতে না পারিয়া আমার সহধর্ম্মিণী আজি দুই বৎসর হইল ধরাধাম ত্যাগ করিয়া গিয়াছেন। আজ এখন তঁাহার কথা মনে পড়িতেছে।” অনিল উঠিলেন এবং গিরণকে শয়নগুহ দেখাইয়া দিয়া নিজে শুইতে C°iርማቫ |