পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RV) o আর্য্যাবর্ত ৪র্থ বর্ষ-৪র্থ সংখ্যা । কাহকেও গালি দেন না । মেকির উপর রাগ আছে বটে, তা ছাড়া সবটাই রঙ্গ, সবটা আনন্দ । কেবল ঘোর ইয়ারকি । * * অন্যত্র তাও না কেবল আনন্দ ।” যিনি “শক্রিতা করিয়া কাহাকেও গালি দেন না।” তিনি মোটা লাঠি লইয়া সজোরে শক্রির মাথায় মারিবেন কেন ? বঙ্কিমচন্দ্র স্বয়ং দ্বিবিধ রসিকতাতেই পটু ছিলেন। আবার একই প্রকারের রসিকতার sBDBBDLL DS BD DD DBDDDBD BLSSDDDBBBS BBDDBS BBS তেন তখন রসিকতার এক রূপ। আর যখন তিনি সমালোচ্য গ্রন্থ হইতে “গুলঞ্চের পতিনিষ্ঠা দেখে আমার ইচ্ছা হচ্চে যেন আমি তার মতন অনন্ত বাহু-শৃঙ্খলে আবদ্ধ করে, নারীজীবনের সার পতিরূপ সারাল নিমতরুকে চিরকাল বক্ষস্থলে ধারণ করি”-উদ্ধত করিয়া বলিয়াছিলেন—“এমন পিত্ত । নাসিক উপমা কস্মিনকালে দেখি নাই।” তখন রসিকতার অন্য রূপ । বঙ্কিমচন্দ্র মোটা রসিকতার স্থানে মিহি রসিকতাকে বরণ করিয়া বসাইয়াছিলেন । এ বিষয়ে রবীন্দ্রনাথ বঙ্কিমচন্দ্রের সম্বন্ধে বলিয়াছেন - “নির্ম্মল ; শুভ্র সংযত হাস্য বঙ্কিমই সর্ব্বপ্রথমে বঙ্গ সাহিত্যে আনয়ন করেন। তৎপূর্ব্বে বঙ্গসাহিত্যে চাস্যরসকে অন্য রসের সহিত এক পংক্তিতে বসিতে দেওয়া হইত না । সে নিয়াসনে বসিয়া শ্রাব্য অশ্রাব্য ভাষায় ভাড়ামি করিয়া সভাজনের মনোরঞ্জন করিত । আদি রসেরই সহিত যেন তাহার কোন একটি সর্বউপদ্রব্যসহ বিশেষ কুটম্বিতার সম্পর্ক ছিল এবং ঐ রাসটাকেই সর্বপ্রকার পীড়ন ও আন্দোলন করিয়া তাহার অধিকাংশ পরিহাস বিদ্রুপ প্রকাশ পাইত। এই প্রগলভ বিদূষকটি যতই প্রিয়পাত্র থাক কখনও সম্মানের অধিকারী ছিল না। যেখানে গম্ভীর ভাবে কোন বিষয়ের আলোচনা হইত। সেখানে হাস্যের চপলতা সর্বপ্রযত্নে পরিহার করা হইতে ।” এ কথা কিঞ্চিৎ অতিরঞ্জিত হইলেও ভিত্তিহীন নহে। আমরা পূর্বেই বলিয়াছি, বঙ্গ সাহিত্যে-বাঙ্গালীর কথায় যে নির্ম্মল, শুভ্র, সংযত DBDSDD BS TBDD DYYYDB SDDB DBDBBDB BBD DDBBD DD SS BDBB পর রবীন্দ্রনাথ বলিয়াছেন,-“বঙ্কিম সর্বপ্রথমে হাস্যরসকে সাহিত্যের উচ্চ শ্রেণীতে উন্নীত করেন। তিনিই প্রথম দেখাইয়া দেন যে, কেবল প্রহসনের সীমার মধ্যে হাস্যরস বদ্ধ নহে, উজ্জল শুভ্র হাস্য সকল বিযয়কেই আলোকিত করিয়া তুলিতে পারে। তিনিই প্রথম দৃষ্টাস্তের দ্বারা প্রমাণ করাইয়া দেন যে, এই হাস্যজ্যোতির সংস্পর্শে কোন বিষয়ের গভীরতার গৌরব