পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ, ১৩২ • । অনিন্দ্যা । . RS9. কৃতীশ্বর অতি আনন্দের সহিত আপনার যাবতীয় অস্ত্র গিরণকে অৰ্পণ করিয়া বলিলেন,-“মনে বড় দুঃখ রহিয়া গেল যে, আমি তাহাকে পদাঘাতে ভূতলশায়ী করিবার অবসর পাইলাম না।” গিরণ কৃতীশ্বরের আকৃত্রিম বন্ধুপ্রীতির জন্য তঁহাকে সহস্র ধন্যবাদ দিয়া বলিলেন,-“ভাই! তুমি প্রাসাদে ফিরিয়া যাও। আমি যতদিন না। সেই নৱাধিমের সন্ধান করিয়া এই অপমানের প্রতিশোধ আর তাহার নিজমুখ হইতে তাহার পরিচয় লইতে পারিব, ততদিন প্রত্যাবর্ত্তন कविद नों ।" কৃতীশ্বর চলিয়া গেলে গিরণ যে পথ দিয়া সেই অশ্বারোহী গিয়াছিল, সেই পথ ধরিয়া গমন করিতে লাগিলেন । মস্তিকের উপর তখন মধ্যাহের দীপ্ত মার্ত্তণ্ড । ক্ষুৎপিপাসায় তাহার শরীর অবসন্ন। অশ্বের গতি মন্থর হইয়া আসিয়াছে। রাজপুত্র কিন্তু কোন দিকে দৃকপাত না করিয়া পথ অতিক্রম করিয়া চলিলেন । 角 অরণ্য হইতে বহির্গত হইয়া তিনি যখন একটি গ্রামে আসিয়া পড়িলেন, তখন সূর্য্যদেব পশ্চিমে হেলিয়াছেন। গ্রামটি দেখিয়া তাহার বিস্ময়ের সীমা রহিল না। তাহ যেন একটি বৃহৎ কামারশালা বলিয়া তাহার নিকট বোধ হইল। প্রায় প্রতি গৃহেই অস্ত্র-শস্ত্র শাণিত ও বম্মাদি পরিস্কৃত হইতেছিল। তাহাতে যে ভীষণ শব্দ উথিত হইতেছিল, তাহাতে গিরণের কর্ণ বধির হইয়া যাইবার উপক্রম হইল । গিরণ মনে করিলেন, এই রাজ্যের সমস্ত অস্ত্র-শস্ত্র বুঝি এই স্থানে প্রস্তুত ও সংস্কৃত হয়। আততায়ীর সহিত যুদ্ধকালে শরীরাবরণের জন্য তাহার একটি বর্ম্মের প্রয়োজন ছিল ! প্রথমে যাহাকে দেখিতে পাইলেন, “সে একটি বর্ম্ম তঁহাকে বিক্রয় করিবে কি না, এই প্রশ্ন করায় সে তাহার কাব্য হইতে বিরত না হইয়া এবং মুখ না তুলিয়াই বলিল, “কাল বাসস্তী-বিজয়, বিরক্ত করিবেন না ।” গিরণ কিছু বুঝিতে না পারিয়া আর এক জনের নিকট যাইয়া বর্ম্মক্রয়ের ইচ্ছা জানাইলে সেও ঐরূপ উত্তর দিল। যাহাকে জিজ্ঞাসা করেন, ঐ একই উত্তর ; তাহার অধিক একটি কথাও কেহ বলে না। শেষে অত্যন্ত কুপিত হইয়া তিনি একজনকে বলিলেন,-“তোমাদের বাসস্তী বিজয়টা কি ? আর তোমরা গ্রাম শুদ্ধ লোক অস্ত্র-শস্ত্রের এরূপ সংস্কার করিতেছ। কেন, তাহা