পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড) - সুলভ বিশ্বভারতী.pdf/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনবাণী Yn ol) শরতে যবে শিশির বায়ে উচ্ছসিত শিউলিবীথি, বাণীরে তার করে না মান কুহেলিঘন পুরানো স্মৃতি । শালের ফুল-ফোটার বেলা মধুকাঙালী লোভীর মেলা, চিরমধুর বঁধুর মতো - সে ফুল তার হৃদয় হরে । বেণুবনের আগের ডালে চটুল ফিঙা যখন নাচে পরদেশী এ পাখির সাথে পর্যানে তার ভেদ কি আছে । উষার ছোওয়া জাগায় ওরে ছাতিমাশাখে পাতার কোলে, চোখের আগে যে ছবি জাগে মানে না। তারে প্রবাস বলে । সেথা যে চিরজানারই লীলা, NoJo Voß (off(FN (Pois(r শ্যামল ভাষা যেখানে গাছে । fশান্তিনিকেতন] ৮ বৈশাখ ১৩৩৪ কুটিরবাসী তরুবিলাসী আমাদের এক তরুণ বন্ধু এই আশ্রমের এক কোণে পথের ধারে একখানি গোলাকার কুটির রচনা করেছেন । সেটি আছে একটি পুরাতন তালগাছের চরণ বেষ্টন ক’রে । তাই তার নাম হয়েছে। তালধ্বজ । এটি যেন মৌচাকের মতো, নিভৃতবাসের মধু দিয়ে ভরা । লোভনীয় বলেই মনে করি, সেইসঙ্গে এও মনে হয় বাসস্থান সম্বন্ধে অধিকারভেদ আছে ; যেখানে আশ্রয় নেবার ইচ্ছা থাকে। সেখানে হয়তো আশ্রয় নেবার যোগ্যতা থাকে না । তোমার কুটিরের সমুখবাটে পল্লিরমণীরা চলেছে হাটে । উড়েছে রাঙা ধুলি, উঠেছে হাসি— উদাসী বিবাগীর চলার বাশি