পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/২৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&E8 আর্য্যাবর্ত্ত । ས་འ--efག། এবার সে যেন ভরা জুয়ারে তরী ভাসাইয়াছিল ; তরণী অনাহত দ্রুত গতিতে অগ্রসর হইতে লাগিল। পরীক্ষার পর পরীক্ষায় তাহার সাফল্য তাহার সতীর্থ দিগকে বিস্মিত করিতে লাগিল। শেষে সে ডাক্তারী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া চিকিৎসা করিতে লাগিল । ? ভাগ্যদেবী যখন যাহাকে দয়া করেন তখন আপনার সম্পদ-ভাণ্ডারের দ্বার তাহার পক্ষে মুক্ত করিয়া দেন ; তাহার। আর কোন অভাব থাকে না। তিনি ভবতরণের প্রতি প্রসন্ন হইয়াছিলেন। দিন দিন তাহার। পশার বাড়িতে লাগিল, যশ চারিদিকে ব্যাপ্ত হইতে লাগিল, উপার্জনের বৃদ্ধি হইতে লাগিল। এক একদিন আপনার অবস্থার আলোচনা করিয়া ভবতারণ যথেষ্ট আত্মপ্রসাদ লাভ করত। সে দিন সে জ্যেষ্ঠের হন্তে লাঞ্ছিত হইয়া গৃহত্যাগ করিয়াছিল-সে দিনে আর বর্তমান সময়ে কি পরিবর্তন সংঘটিত হইয়াছে! সে দিন সে আশ্রয়হীন, সম্বলহীন-পথের ভিখারী । আর আজ ? আজ তাহার যশ অনেকের ঈর্য্যার কারণ, তাহার উপার্জন-তাহার প্রয়োজনীতিরিক্ত ; আর সকলের উপর তরুবালার অনাবিল প্রেম ! সে প্রেমে তাহার হৃদয় চিরমধুময় হইয়াছিল। তাহার বিশ্বাস দাড়াইয়াছিল, পত্নী হইতেই তাহার সৌভাগের সূচনা-পত্নীই তাহার সৌভাগ্যের কারণ। সে সর্ববিষয়ে পত্নীর কথা শুনিত, কেবল এক বিষয়ে শুনিত না। তরুবালা মধ্যে মধ্যে তাহাকে জ্যেষ্ঠের সংবাদ লাইতে বলিত । ভবতারণ ; সন্মত হইত না ; বলিত, “এখনও সময় হয় নাই। পরে লাইব ।” এবিষয়ে তরুবালা স্বামীর কার্য্যের কারণ বুঝিতে পারিত না । কিন্তু তরুবালা মনে করিত, বিশেষ কারণ ব্যতীত স্বামী এ কার্য্য করিতেন না । সে স্বামীকে ‘দেবতার মত ভক্তি করিত । তাহার জনকজননী,পরলোকে, তাহার ভ্রাতভাগিণী জন্মে, নাই, শিশুর কোমল স্পর্শে তাহার রমণীজন্ম সফলতা প্রাপ্ত হয় নাই; কাষেই তাহার স্নেহ, প্রেম, ভক্তি, ভালবাসা সবই তাহার স্বামীকে অবলম্বন করিয়াছিল। স্বামীই তাহার হৃদয় পূর্ণ করিয়া বিরাজিত-সে। কি স্বামীর কার্য্য অসঙ্গত বা অকারণ বলিয়া মনে করিতে পারে ? V বিশ বৎসর কাটিয়া গেল। ভবতারণের সৌভাগ্য-স্রোতে ভাটা পড়িল না। এই সময় একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটিল। দ্রুতগামী রেলগাড়ী সম্মুখে অতর্কিত বাধায় যেমন ধ্বংস হইয়া যায়, তেমনই অতর্কিত বিপদে ভবতারণের সব শেষ হইল। সে বাৱ কলিকাতায় প্রথম ‘প্লেগ দেখা দিল । বোম্বাই বিধবন্ত