পাতা:রংপুর সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (সপ্তম ভাগ).pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

d) o R রঙ্গপুর-সাহিত্য-পরিষৎ পত্রিকা সাধকশ্রেষ্ঠ ব্ৰহ্মানন্দ এই কালঞ্জ গ্রামে উল্লিখিত দেবীর আরাধনায় সিদ্ধিলাভ করিয়াছিলেন ; আমরা এইরূপ কিম্বদন্তী আবাল্য শুনিয়া আসিতেছি। এই প্রদেশে কালঞ্জেশ্বরী সিদ্ধপীঠেশ্বরী বলিয়া বিখ্যাত। যে স্থানে দেবীর ভগ্নমন্দির দেখিতে পাই ঐ স্থান পুরাকালে মহাশ্মশানক্ষেত্র ছিল। ঐ মহাশ্মশানে, মহাপুরুষ সাধনাগ্রণী ব্ৰহ্মানন্দ শ্মশানবাসিনীর আরাধনায় সিদ্ধিলাভ করিয়াছিলেন বলিয়া উক্তস্থান সিদ্ধ-পীঠ নামে আখ্যাত হইয়াছে। এই স্থানে পুরাকালে সুবৃহৎ রক্তদহের বিল প্রবাহিত ছিল । ঐ বিল এখন আর তথায় নাই। “ এই স্থান হইতে বিল এখন অতিদূরে অবস্থিত। । ব্ৰহ্মানন্দ রাজসাহী জেলার অন্তর্গত শ্যামনগর গ্রামে বারেন্দ্ৰ ব্ৰাহ্মণ-বংশে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন । ইহঁর প্রকৃত নাম অজ্ঞাত। ব্ৰহ্মানন্দ ইহার সাধনার নাম । তন্ত্রশস্ত্ৰে দেখিতে পাই, শক্তিমন্ত্রের উপাসকগণের মধ্যে আচার ভেদ আছে। পশ্বাচারী, কুলাচারী, দিব্যাচারী প্রভৃতি বহু সম্প্রদায়ভেদে সাধকগণের সাধনাভেদ দেখা যায়। কৌলীগণ তন্ত্রোক্ত পঞ্চতত্ত্বের দ্বারা ইষ্টদেবতার আরাধনা করেন। তান্ত্রিকী দীক্ষা গ্রহণের পর, এই সম্প্রদায়ের পূর্ণাভিষেক হইবার বিধি আছে। পূর্ণাভিষেক जनभg: সম্প্রদায়গত আনন্দ-শব্দান্ত কোন একটি নাম পুর্ণাভিষেককারী গুরু কর্তৃক রক্ষিত হয় । ইহা শাস্ত্রে আমরা দেখিতে পাই । যথা ত্রিপুরানন্দ, উমানন্দ প্ৰভৃতি । ব্ৰহ্মানন্দও এই পূর্ণাভিষিক্ত মহাপুরুষের অভিষেককালে গুরুপ্রদত্ত নাম। ইহঁর প্রকৃত নাম আমাদের অজ্ঞাত । ব্ৰহ্মানন্দ ত্রিপুরানন্দের শিষ্য ছিলেন। ব্ৰহ্মানন্দ বিরচিত তারারহস্য নামক গ্রস্থে ইহা আমরা দেখিতে পাই । বাল্যে জনশ্রুতিতে ব্ৰহ্মানন্দের গুরু পুৰ্ণানন্দ শুনিয়াছিলাম, কিন্তু তাহার অলীক ত্ব এক্ষণে ব্ৰহ্মানন্দের স্বরচিত তারা রহস্য গ্রন্থাবলোকনে প্ৰতিপন্ন হইতেছে। পূর্ণানন্দ নামে এক জন সিদ্ধ-পুরুষ ছিলেন, তঁহার সিদ্ধিস্থান নবদ্বীপ । নবদ্বীপেশ্বরী প্ৰসিদ্ধ ‘পোড়া ম’ তাহার উপাস্য দেবতা। পূর্ণানন্দ এই প্ৰসিদ্ধ নবদ্বীপেশ্বরী “পোড়া মার” উপাসনায় সিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন - পোড়া মার ইতিহাস সঙ্কলন এই প্ৰবন্ধের উদ্দেশ্য নহে। অতএব নবদ্বীপেশ্বরীর পোড়া মা নাম-নিরুক্তি নিম্প্রয়োজনবোধে পরিত্যক্ত । হইল। পোড়া মাের সহিত পূৰ্ণানন্দের উপাস্য-উপাসক সম্বন্ধ সামঞ্জস্য আছে। সাধকের স্বরচিত শ্যামারহস্য গ্ৰন্থ তাহার সাক্ষ্য প্ৰদান করে। এই প্ৰবন্ধের প্রথমাংশে যে সমুদায় সিদ্ধিক্ষেত্র বা সিদ্ধ পীঠের উল্লেখ করিয়াছি, তন্মধ্যে কালঞ্জ অন্যতম সিদ্ধপীঠ বলিয়া কীৰ্ত্তিত হইয়াছে। পরন্তু “জাতো লক্ষ বলিযাত্ৰ হোমো বা কোটীসংখ্যক: মহাবিদ্যাজপঃ কোটী সিদ্ধপীঠঃ প্ৰকীৰ্ত্তিতঃ ” এই তন্ত্রোক্ত প্ৰামাণ্য বচনবলে কালঞ্জেশ্বরী যে সিদ্ধপীঠেশ্বরী তাহা নিঃসন্দেহরূপে প্ৰমাণিত হয়। সাধকগণ কোনও সিদ্ধপীঠে বা মহাপীঠে জপোপাসনা দ্বারা ( च अडौड़े cशबडॉन সাক্ষাৎকার লাভে কৃতাৰ্থ হয়েন, ইহার প্রমাণ বিরল নহে। নাটােরাধিপতি সাধকশ্রেষ্ঠ মহারাজ রামকৃষ্ণ মহাপীঠ ভবানীপুরে (ভাবতায় ) স্বাভীষ্টদেবতার দর্শনেচ্ছায়ু,উপাসনা করিয়াছিলেন, ইহা সৰ্ব্বসাধারণের সুবিদিত। মহাপীঠের छात्र