পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bir N98 अर्शिात6 । ४श य-०२* अ९६T । পিত্রালয়ে আসিয়া শৈলজা রাধাচরণকে কলিকাতা হইতে আনাইল ; বলিল, “এ সময় সোজবৌ কলিকাতায় কেন ?” পত্নীর সন্তানসম্ভাবনাহেতু রাধাচরণ তাহাকে তাহার পিত্রালয়ে পাঠাইবার উদ্যোগ করিয়াছিল। সে বলিল, “সেজবোঁকে বাপের বাড়ী পাঠাইতে झूझेत ।” ** শৈলজা রাগিয়া উঠিল ; বলিল 'এখন তাহারও বাপের বাড়ী যাইবার সময় নহে ; তোমারও কলিকাতায় থাকিবার সময় নহে। বুঝিতে পারিতেছি না, আমাদের কি সর্ব্বনাশ উপস্থিত ? তোমার এমন বুদ্ধি হইল কেন ? কাহাকে হারাইতে বসিয়াছ তাহা কি বুঝিতেও পারিতে্যুছ না ?” সে জানিত, জ্যেষ্ঠ তাতের মৃতু্যতে পিতৃগৃহে তাহার সকল অধিকারের শেষ হইবে । তিরস্কৃত রাধাচরণ কলিকাতায় ফিরিয়া গেল এবং পত্নীকে গৃহে লইয়া আসিল । পিসীমা সেই সঙ্গে আসিলেন , তখন লোকলজাভয়ে বড় বন্ধও ইচ্ছাপুরে আসিলেন । নীরজ। অল্পদিন পূর্ব্বে শ্বশুরালয়ে গিয়াছিল । তাহার শ্বাশুড়ী তাহাকে এত শীঘ্র পাঠাইতে সম্মত হইলেন ন! । তাই পার্ব্বতীচরণ তাহাকে আনিতে দানাপুরে গেল। সে বহু অনুনয় বিনয়ের ফলে ভগিনী*ে লইয়া আসিতে পারিল বটে ; কিন্তু ভগিনীর ভবিষ্যৎ ভাবিয়া শঙ্কিত হইল। তাহার শ্বাশুড়ী গৃহের গৃহিণী। তাহার পুত্রগণ বিদেশে চাকরী করে, কেহ পরিবার সঙ্গে লইয়া যাইতে পায় না। সকলকেই গ্রাসাচ্ছাদনের অনিবার্য্য অর্থ ব্যতীত সব টাকা মা’কে পাঠাইয়া দিতে হয় । তিনি সেই অর্থ সঞ্চিত করেন। তঁহার অর্থলালসা এমনই প্রবল যে, বধরা পত্র লিখিবার জন্য একখানা খাম প্রয়োজন হইলেও সকল সময় পায় না । বিবাহিতা পৌত্রীরা পিতৃগৃহে আসিলে তিনি বিরক্ত হইয়া উঠেন-খরচ বাড়িবে। তিনি রুক্ষপ্রকৃতি । র্তাহার দেহ স্বভাবতঃ শীর্ণ-অস্থিচর্ম্মসার ; তাহার উপর অমরোগে জীর্ণ। কাষেই তাহার ধৈর্য্যাচু্যতি ঘটিতে বিলম্ব ঘটে না। পার্ব্বতীচরণ এক দিনেই তঁাহার প্রকৃতির যে পরিচয় পাইল । তাহাতে সে শঙ্কিত হইল। ফাল্গুনের মধ্যভাগে এক দিন ভট্টাচার্য্য মহাশয় পরিবারের সকলকে শষ্যাপাশ্বে ডাকিলেন । সকলে সমবেত হইলে তিনি বলিলেন, “বামাচরণ, পার্ব্বতীচরণ, রাধাচরণ, দেবীচরণ-তোমাদের কাছে আমার একটি অনুরোধ