পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b8& আয্যবর্ত্ত ७१ वर्ष - ०२ में 1९थJ । করিয়া অশ্রু বিসর্জন করিতে করিতে বলিল, “কৈলাস ! তোমার ঋণ আমরা কখনও পরিশোধ করিতে পারিব না ।” কৈলাস কোন উত্তর দিতে পারিল না ; সেও তাহার সঙ্গে অশ্রু বিসৰ্জন করিল। এই দিন একটা নুতন ভাব তাহদের হৃদয়ে প্রবেশ করিয়া একটু বসিবার স্থান অন্বেষণ করিতেছিল, তাহারা পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হইতেছিল । কৈলাসের পিতার অনুরোধ ও ভয়প্রদৰ্শন যাহা করিতে পারে নাই, কৈলাসের ব্যবহারে তাহাই যেন সম্পাদিত হইতে চলিল। কিন্তু রাধারণীর প্রতিজ্ঞ, সে বিবাহ করিবে না। সে বিবাহ করিলে পিতামহীর কি হইবে ? আবশ্যক হইলে সে গ্রাম ত্যাগ করিতে প্রস্থত ছিল ; কিন্তু কৈলাস তাহাকে अडश निशांछिब्न । কৈলাসের সেই কথায় রাধারণীর হৃদয়ে একটা পরিবর্তনের সুর বাঙ্কার দিয়া উঠিয়াছিল। রাধারণী কিছুতেই স্থির করিতে পারে না, পিতার BBBBB BD DBDBDS DEDBB gK LgD KKBDuJKt tDDS KDgDS চরিত্রের রহস্যদ্বার উদঘাটনের ক্ষমতা তাহার ছিল না, কিন্তু কৈলাসের প্রতি অনুরাগে তাহার হৃদয় পূর্ণ হইয়া উঠিতেছিল। ( . ) দিন যায়——থাকে না । অতি দুঃখের রাত্রিও প্রভাত হয়-সুতরাং রাধারাণীদের দুঃখের দিনগুলিও কাটিতে লাগিল। একদিন রাধারণী নীরবে: বসিয়া ভাবিতেছে, এ কি হইল ? তাহদের বড় বড় ঘরগুলির চালে খড় নাই ; বাড়ীর উঠান তৃণে পরিপূর্ণ, বিষ্ণুমন্দিরের বারান্দায় রাশীকৃত আবৰ্জনা । এ কি হইল! সে এক দিনও ইহার জন্য অশ্রপাত করে নাই । কিন্তু আজ সে আর স্থির থাকিতে পারিল না । একটা অব্যক্ত বেদনায় তাহার হৃদয় চঞ্চল। তাহার উপর তাহার ঠাকুরমা শয্যাশায়ী। তাহার বড় বড় চক্ষু দুইটি জলে পূর্ণ হইয়া গেল। এমন সময়ে কৈলাস ঔষধ লইয়া আসিল । সে বৃদ্ধার জন্য দূর গ্রামে কবিরাজের নিকট ঔষধ আনিতে গিয়াছিল। আবার সন্ধ্যায় কবিরাজের নিকট যাইতে হইবে । কৈলাস জিজ্ঞাসা করিল, “রাধারাণি, ঠাকুরমা কেমন আছেন ? কি করিয়া তোমাকে এই বিপদ হইতে উদ্ধার করিব !” রাধারাণীকে কঁদিতে দেখিয়া কৈলাস ও বালকের ন্যায় কঁাদিয়া ফেলিল । তাহার পুর ? তাহার পর সেই দিন রাত্রিকালে রাধারাণীদিগের তিন