পাতা:অশনি সংকেত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

अभानि-लक७ NA মতি বাগদিনী ছটে এল ওদের গরর গাড়ী দেখে। মহাখাশির সঙ্গে বললে-বাম ন-দিদি আলেন নাকি ? ওমা, আমাদের কি ভাগ্যি DBDBDBSB DBBYY DDBDLD DBS DD DBDDBD S --দাঁড়ান, আগে একটু গড় করে নিই। পায়ের ধালো দ্যান এটু-খোকারা বেশ বড় হয়েচে দেখােচ ৷ বাঃ -छाळ छिन ? --আপনাদের ছিচরণের আশীর্ব্ববাদে। এখন আছেন কোথায় ? -ওই নতুনগাঁ, কােপালীপাড়ায় । ন’কোশ রাস্তা এখান থেকে। --- এখানে এখন থাকবেন তো ? --বেশিদিন কি থাকতে পারি ? সেখানে উনি ইস্কুল খালেচেন মন্তবড়। এক-ঘর ছাত্তর । দদিন থাকবো তাই তাঁকে রোধে খেতে হবে । —খাওয়াদাওয়ার যোগাড় করবো ? —আমাদের সঙ্গে চালডাল আছে পাটুলিতে। তুই দটাে শকিনো কাঠ কুড়িয়ে দিয়ে যা । পদাবিলের থেকে কিছু দরে মচিপাড়া। প্রায় একশো ঘর মচির বাস। পদাবিলে মাছ ধরে আশপাশের গ্রামে বেচে এরা জীবিকা-নিবাহ করে । পোয়াটাক পথ দরে গ্রামের অন্য অন্য জাত বাস করে । ব্রাহ্মণের বাস। এ গ্রামেও নেই-এর একটা প্রধান কারণ, গঙ্গাচরণ এমন গ্রামে বাস করে নি যেখানে ব্রাহ্মণের বাস আছে। কারণ সে গ্রামে তার পসাের থাকবে না। তার বদলে অন্য ব্রাহ্মণ যেখানে ডাকবার সবিধে আছে, এমন গ্রামে সে ঘর বাঁধতে যাবে কি জন্যে ? তাতে আদর হয় না । অনঙ্গ-বেয়ের আগমনের সংবাদে গোয়ালাপাড়া থেকে বেটু-ঝিয়েরা দেখা করতে এল । কেউ নিয়ে এল একটি ঘটিতে সেরখানেক দধি, কেউ নিয়ে এল খানিকটা খেজার-গড়ের পাটালি, কেউ একছড়া পাকা মত মান কলা । অনেক রাত পযন্ত কি-বোঁয়েরা দাওয়ায় বসে গলপ করলে। সকলেই মহাখাশি অনঙ্গ-বেী আসাতে । সকলেই অন্যরোধ জানালে এখানে কিছুদিন থাকতে ! এখানে আবার উঠে এলে কেমন হয় ? তারা সব সবিধে করে দেবে বসবাসের। কোনো অভাব-অভিযোগ থাকতে দেবে না। আসন না বামনদিদি তাঁদের গাঁয়ে আবার ? ওরা নিজেরাই ঘরদের ঝাঁট দিয়ে পরিস্কার করে দিলে। মাটির প্রদীপে তেল সলতে দিয়ে আলো জেলে দিলে । মতি মাচিনী বললে--রাত্তিরে আমি এসে শোবো। ঘরের দাওয়ায় । দটো খেয়ে আসিঅনঙ্গ-বেী তাকে বাড়ী গিয়ে খেতে দিলে না। যা রান্না হয়, এখানেই দটাে ডাল ভাত খেয়ে নিলেই হবে। গরর গাড়ীর গাড়োয়ানও তো খাবে। সন্ধ্যার পরে বেশ জ্যোৎসনা উঠলো । একটু ঠাড়া পড়েচে জোর দক্ষিণ বাতাসে। বৌঝয়েরা একে একে চলে গেল। মতি মাচিনী কলার পাত কেটে এনে বিলের ধারে ঘাসের উপর ভাত খেতে বসলো। গাড়োয়ান বললে তার শরীর খারাপ হয়েচে, সে কিছর খাবে না। রাত্রে । অনঙ্গ মাদর পেতে গলপ করতে বসলো বিলের দিকের জ্যোৎসমালোকিত দাওয়ায়। শ্যামাচরণ ঘোষের বিধবা মেয়ে একটা কেরোসিনের টেমি ধরিয়ে এসে হাজির হোল অনেক রান্ত্রে। সেও রাত্রে এখানে শোবে । অনঙ্গ-বেীকে সেও বড় ভালবাসে। এ মেয়েটির