পাতা:অশনি সংকেত - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

68 অশনি-সংকেত কােপালী-বোঁ হেসে বড়ো আঙলে তুলে নাচিয়ে বললে-লবডঙ্কা ! তাই বা কোথায় পা বামন-দিদি ? কাওরাপাড়ার মাগী-মিস্পেস এসে গাঙের ধারের যত শাষনি শাক, কলমি শা হেদেদ, শাক, তুলে উজোড় করে নিয়ে যাচ্চে দিনরাত। গিয়ে দ্যাখো গো কোথাও নেই আমি কি, খোঁজ করি নি বামন-দিদি ? ওই খেয়ে আজ দশদিন বেচে আছি-ওই সব আর ছোলা সেদ্ধ। তোমার কাছে মিথ্যে কথা বলে বড়াই করে কি করবো ? বিশদ্বাস মশায়ের বাড়ী মিটিং বসেচে । বৰ্তমান সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্যেই মিটিং, তবে কােপালী-পাড়ার লোক ছাড়া অন কোনো লোক এতে উপস্থিত নেই। ক্ষেত্রে কােপালী বললে-এখন ধান আমাদের দেবেন। কিনা বলন বিশেবস মশায়। বিশ্ববাস মশায় অনেকক্ষণ থেকে সেই একই কথা বলচেন-ধান নেই, তার দেবো কি আমার গোলা খাঁজে দ্যাখো । অধর কােপালী বললে-আমাদের পাড়াটা আপনি কাজ দিয়ে বে'চিয়ে রােখন। আসতে বারে আপনার ধার এক দানাও বাকি রাখবো না । বিশ্ববাস মশায়ের বাঁ-দিকে গঙ্গাচরণ অনেকক্ষণ থেকে বসে আছে। সে এসেছিল ধানচাল সম্বন্ধে একটা ব্যবস্থা করা যায়। কিনা বিশ্ববাস মশায়ের সাহায্যে সেই চেস্টায়। এত বড় মিটিং এর মধ্যে এসে পড়বে তা সে ভাবে নি । সে চুপ করে বসেই আছে । হঠাৎ তার দিকে ফিরেই বিশ্ববাস মশায় বললেন-পণ্ডিত মশাই, আপনি এই নিন। গোলা চাবি। এদের গিয়ে খালে দেখান ওতে কি আছে বিশ্ববাস মশায় চাবিটা গঙ্গাচরণের সামনে ছাড়ে ফেলে দিতেই ক্ষেত্র কােপালী বলে উঠলো। --গোলা দেখতি হবে না । আমরা জানি ও গোলাতে আপনার ধান নেই । চটে উঠে বিশ্ববাস মশায় বললেন-তবে কোথায় আছে ? --আপনি ধান লকিয়ে রেখেছেন বাড়ীতে । --তুমি দেখেচ ? --দেখতে হবে না, আমরা জানি । কথা শেষ করে ক্ষেত্র কােপালী মিটিং ছেড়ে উঠে চলে গেল ! অধর কােপালী অনািনয়ের সরে বললে-শােনন, বিশোবাস মশায়, আপনি পাড়ার মা-বাপ। বিপদে যদি আপনি না বাঁচান, তবে ছেলেপিলে নিয়ে কোথায় দাঁড়াই বলন দিক : আম, করবেন না । ধানের ব্যবস্থা আজ করে দিতেই হবে আপনাকে । বিশ্ববাস মশাই দাঁত খি'চিয়ে বললেন—অমনি বলে সবাই! তুমি তো আমার ঘাড়ে ফেলে দিয়ে দিব্যি নিশ্চিন্দি হলো-তারপর ঠ্যাল সামলায় কে শনি ? ধান আমার নেই। -একটু দয়া করুন—এটু আমাদের দিকি চান । আজ দশদিন বাড়ীতে একটা চালের দানা কারো পেটে যাই নি, সত্যি বলচি । SJLBBS D DD BD BB BDB LB BDBD BDBD DS DBLB DDSS D DBD BDDBDB gDO মঠো কম খাবো। সে কথা তো বললিই হয়, কি বলেন ঠাকুর মশাই ? গঙ্গাচরণ চুপ করে রইল, এ কথায় সায় দিলে পাড়ার লোকে তার ওপর চটে যাবে। সবাইকে নিয়ে বাস করতে হবে যখন, কাউকে সে চটাতে চায় না ।